বিজেপি শাসনে হ্রাস পেয়েছে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এমনটাই অভিযোগ করেছেন। বিজেপি শাসনে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অদৃশ্য হয়ে গেছে, সঙ্ঘ পরিবার ক্রমাগত সেই সমস্ত আউটলেটগুলিকে টার্গেট করছে যারা শাসকগোষ্ঠীর সমালোচনা করে।
বিবিসির ভারতীয় নিউজরুমের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এমন খবরের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিবিসি সম্প্রতি ভারতে তাদের কার্যক্রম ঢেলে সাজিয়েছে ভারতের বিদেশি বিনিয়োগের নিয়ম মেনে চলার জন্য।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজয়ন বলেন, রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে আয়কর বিভাগের ক্রমাগত প্রতিহিংসাপরায়ণ পদক্ষেপের কারণে বিবিসি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
‘‘বিজেপি শাসনে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অদৃশ্য হয়ে গেছে, সঙ্ঘ পরিবার ক্রমাগত শাসকগোষ্ঠীর প্রশংসা না করা মিডিয়া আউটলেটগুলিকে টার্গেট করেছে। বিবিসির এই পরিস্থিতি আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, এই নির্বাচন এ ধরনের সমস্যা সমাধান ও সমাধানের একটি সুযোগ,’’ বলেন তিনি।
‘‘তাদের এজেন্ডা একটি অনুগত মিডিয়ার দিকে ঝুঁকছে, যা প্রশ্নাতীতভাবে সব মেনে চলতে প্রস্তুত। সাধারণত সংবাদমাধ্যম তাদের দাবি ও হুমকি মানতে ব্যর্থ হলে এ ধরনের শাসকরা দমন-পীড়নের আশ্রয় নেয়, যেমনটা বিবিসির ঘটনায় দেখা গেছে,’’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ভারতের র্যাংকিং ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। প্যারিস-ভিত্তিক রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের প্রেস ফ্রিডম র্যাংকিং ১৫০ থেকে ১৬১-এ নেমে গেছে।
তিনি বলেন, সঙ্ঘ পরিবারের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার সাহস দেখানো সাংবাদিকদের ক্রমাগত টার্গেট করা হচ্ছে দেশে। বিজয়ন ২০২০ সালের ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছিলেন, যেখানে দিল্লি দাঙ্গার কভারেজের জন্য কেরালার দুটি সংবাদমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল।
কেরালায় এক দফার লোকসভা নির্বাচন ২৬ এপ্রিল এবং ফলাফল প্রকাশিত হবে ৪ জুন।
Comments :0