Microsoft Gaza

গাজার গণহত্যায় যুক্ত মাইক্রোসফ্‌ট, সিইও’র সামনে প্রাক্তন কর্মীর ক্ষোভের বিস্ফোরণ

আন্তর্জাতিক

(বাঁয়ে) প্রতিবাদী বানিয়া আগরওয়ালকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। (ডানে) মাইক্রোসফটের অনুষ্ঠানে সিইও-রা।

''৫০ হাজার প্যালেস্তিনীয়কে খুন করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে মাইক্রোসফ্‌টের প্রযুক্তি দিয়ে। আপনাদের এত সাহস! গাজার বাসিন্দাদের রক্তপাত উদ্‌যাপন করছেন আপনারা।’’
মাইক্রোসফ্‌ট তো বটেই, তিন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার তিন মাথাকে এভাবেই সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন বানিয়া আগরওয়াল। মাইক্রোসফ্‌টের ৫০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়েও এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই ক্ষোভ এখন প্রতিবাদের ভাষা হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বময়।
এখন আমেরিকার বাসিন্দা, আদতে ভারতীয় বানিয়া নিজেই সফ্‌টওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। মাইক্রোসফ্‌ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। 
বানিয়া বলছেন, ‘‘এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফ্‌ট গাজায় হত্যাকাণ্ডে মদত দিচ্ছে। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর সহায়ক প্রযুক্তি সংস্থা হিসেবে কাজ করছে। এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ইজরায়েল। সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ১৩ কোটি ৩০ লক্ষ ডলারের চুক্তি করেছে মাইক্রোসফ্‌ট।’’ 
মাইক্রোসফ্‌টের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে ছিলেন সিইও সত্য নাদেল্লা, প্রাক্তন দুই প্রধান বিল গেটস এবং স্টিভ বালমেরও। তাঁরা বানিয়ার অভিযোগের কোনও জবাবই দিতে পারেননি। 
মাইক্রোসফ্‌টের চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবেও গাজায় গণহত্যায় মদতকে দায়ী করেছিলেন বানিয়া। পদত্যাগের চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘‘চরম হিংসাত্মক অন্যায়ের পক্ষ নিয়ে চলছে এমন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে দিচ্ছে না আমার বিবেক।’’
গত ফেব্রুয়ারিতেও সংস্থার মধ্যেই কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন নাদেলা। গাজায় চলতি পর্বে ভয়াবহ আক্রমণ বাড়িয়েছে ইজরায়েল। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি গাজাকে দখল করার ঘোষণা করার পর থেকে বেড়েছে এই আক্রমণের মাত্রা। সেই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। প্রতিবাদ চলছে আমেরিকার মাটিতেও।

Comments :0

Login to leave a comment