আঁখরিগঞ্জে বৃদ্ধা বলছেন, সিপিআই(এম)’র সঙ্গে আছি, থাকব। ভগবানগোলার নির্মলচরে কখনও মিছিল, কখনও পাড়ায় পাড়ায় চলল প্রচার। কথা হচ্ছে জনতার সঙ্গে। বিলি হচ্ছে লিফলেট।
মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে এভাবেই প্রচার চালাচ্ছেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। এই কেন্দ্রে সিপিআই(এম) প্রার্থী মহম্মদ সেলিম, ডিওয়াইএফআই’র প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক।
মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থীর প্রচার মিছিলে অংশ নিচ্ছেন কংগ্রেসের নেতা কর্মীরাও। সেলিম বলছেন, বাঁচাতে হবে দেশকে। রক্ষা করতে হবে দেশের সংবিধান। রক্ষা করতে হবে নাগরিক অধিকার। আর বাঁচাতে হবে বাংলাকে। নতুন করে গড়ে তুলতে হবে মুর্শিদাবাদকেও। বামপন্থীদের শক্তিশালী করার আহ্বান জানাচ্ছেন প্রচারে।
প্রার্থী নিজে গ্রামের কাঁচা রাস্তায় কখনও ঘুরছেন সাইকেলে। প্রচার মিছিলে ছুঁয়ে যাচ্ছেন নতুন প্রজন্মের ভোটার থেকে প্রবীণদের। প্রচার সংগঠনেও নবীন প্রবীণের মিশেল।
সোমবারই ডোমকলের ভগীরথপুরে চালিয়েছেন প্রচার। গ্রামে গ্রামে ঘুরে কথা বলছেন জনতার সঙ্গে। বলছেন, ‘মোদীর লুট আর দিদির লুট, দুই-ই বন্ধ করতে হবে’। বলছেন নির্বাচনী বন্ডে গোপনে কর্পোরেটের টাকা পৌঁছাচ্ছে কিভাবে। তার বদলা নেওয়া হচ্ছে মানুষের ওপর। সরকারি মদতে ওষুধ থেকে বিদ্যুতে দাম বাড়িয়ে জনতার ঘাড় ভেঙে আদায় হচ্ছে টাকা।
মীণাক্ষী, ধ্রুবদের প্রচারে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে গুরুত্ব পেয়েছে যুব অংশের ভবিষ্যতের প্রশ্ন। স্বাধীনতার পর কখনও টানা দশ বছর কর্মহীনতার হার সবচেয়ে চড়া। ৪২ শতাংশ স্নাতক কর্মহীন থাকছেন। গ্রামে কাজ বন্ধ হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি’র যৌথ উদ্যোগে। এই পরিস্থিতি বদলের আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন এলাকায় এলাকায়।
আঁখরিগঞ্জে সেই বৃদ্ধা সিপিআই(এম)’র পাশে চিরজীবন থাকার কথা জানিয়েছেন তাঁর নড়বড়ে ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে। গ্রামে গ্রামে এমন বহু মানুষ কষ্টে রয়েছেন, আবাস যোজনার টাকা মেলেনি। রয়েছেন ভাঙনের বিপদ মাথায় নিয়ে। এই অবস্থা বদলানোর কথা বলছে সিপিআই(এম)।
Comments :0