গুজরাট গণহত্যাকে উচিত শিক্ষা বলেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। 'ধর্ম সংসদ' ডেকে মুসলিমদের নিকেশ করার লক্ষ্য জানানো হয়েছে প্রকাশ্যে।
প্রধানমন্ত্রীর মনে হয়নি দেশে বিভাজনের চেষ্টা হচ্ছে। হলো, যখন গুজরাট গণহত্যায় তাঁর দায় নিয়ে জনতা বিচার শুরু করেছে ফের।
শনিবারই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "নানা বাহানা খাড়া করা হচ্ছে। আসল উদ্দেশ্য ভারতমাতার সন্তানদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা।"
ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস, এনসিসির অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী বলছেন, "যতই চেষ্টা হোক বিভাজন করা যাবে না।"
বিবিসি'র তথ্যচিত্র যদিও কেবল মোদীর চিন্তার একমাত্র কারণ আর নয়। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ হতেই দর কমছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা এলআইসি সঙ্কটের মুখে। প্রশ্ন উঠছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, যার সিংহভাগ অংশীদারিত্ব কেন্দ্রের সরকারের, তাদের আদানিকে দেওয়া ধারের কী হবে। স্টেট ব্যাঙ্কেরও ধার দেওয়া রয়েছে আদানিকে।
মোদী বলছেন, "একতার মন্ত্রই পরম প্রতিষেধক বিভাজনের। একমাত্র একতার পথেই মহত্ব অর্জন করতে পারে ভারত।"
এর আগেও গোরক্ষার নামে ভারতের নাগরিকদের হত্যার একের পর এক ঘটনায় নীরব ছিলেন মোদী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সংখ্যালঘু মুসলিমদের উইপোকা বলে দেশ থেকে তাড়ানোর নিদান দিয়েছিলেন।
সে সময় চুপ থাকলেও মোদী একতার বার্তা শুনিয়েছেন নাগরিক আইন সংশোধনের বিরোধিতা রাস্তায় নামতেই। দাড়ি, ফেজ টুপি আর লুঙ্গি দেখে 'বিভাজনকামীদের চিনে নিতে' বলেছিলেন।
মোদী এবং বিজেপি'কে সেই ভূমিকায় দেখা গিয়েছে কৃষক আন্দোলনের সময়েও।
বিভিন্ন অংশ নিশ্চিত হিন্দুত্ব-কর্পোরেট জোটের বিপক্ষে জনমত ফুঁসে উঠতে চাইছে। মোদী নিজের সুবিধা দেখতে শোনাতে নেমেছেন একতার বার্তা।
Comments :0