ইতিহাস পাঠ্যবই থেকে মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের একটি বিশাল অংশ যেমন বাদ পড়েছে তেমনি দ্বাদশ শ্রেণিরই রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Political Science) থেকে বাদ পড়েছে মহাত্মা গান্ধী, আরএসএস’র মতো সংগঠনকে নিসিদ্ধ করার মতো বিষয়। এমনকি নেই গুজরাট গণহত্যা ও নকশাল আন্দোলনের মতো ঘটনাগুলিও। বিজেপি-আরএসএস মতাদর্শকে আঘাত করে এমন কোনও বিষয় পড়তে পারবে না পড়ুয়ারা তাই সেভাবেই শিক্ষা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভাঙতে চাইছে বিজেপি।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের(NCERT) পাঠ্য বই থেকে বাদ পড়েছে ‘গান্ধীজির মৃত্যু দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির উপর অভূতপূর্ব প্রভাব ফেলেছিল’ সেই অধ্যায়। এছাড়াও ‘গান্ধিজি যে হিন্দু-মুসলিম ঐক্য চাইতেন সেই সংক্রান্ত। তাতেই হিন্দু চরমপন্থীরা ক্ষুব্ধ হন’, ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের মতো সংস্থাকে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল‘, সেই ইতিহাসও বাদ পড়েছে বলে এনসিইআরটির সিলেবাস। সারা দেশে এই নিয়ে তুমুল চর্চা হওয়ার পর বুধবার এনসিইআরটি কর্তা দিনেশ সাকলানি দাবি করেন বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুযায়ী গান্ধিজীর ওপরে কিছু অংশ সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে কারণ সেগুলি ‘অপ্রাসঙ্গিক’,‘চাপিয়ে দেওয়া’ বলে মনে হয়েছে। হঠাৎ একদিনের সিদ্ধান্তে এই পরিবর্তন হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে আলোচনা পরেই পাঠ্য পুস্তকের সিলেবাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তা গত জুনেই হয়েছে নতুন করে কিছু হয়নি।
[ad}
যদিও সাকলানির আরও দাবি করোনা অতিমারির কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর থেকে চাপ কমানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এত বড় পরিবর্তনে কথা আগে উল্লেখই করেনি এনসিআরটি। গুজরাট গণহত্যা, ঠান্ডা যুদ্ধ, নকশাল আন্দোলনের মতো আরও বেশ কিছু অংশ বাদ গিয়েছে বই থেকে। যদিও মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে লেখা কিছু অংশ বাদ দেওয়ার কথা উহ্যই রেখেছিল বলে অভিযোগ। বরং নীরবে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাজারে নতুন বই আসতেই ধরা পড়ে যায় তাদের কারচুপি তারপরেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সারা দেশে। বুধবারই প্রতিবাদ করে টুইট করেছেন সীতারাম ইয়েচুরি। যদিও সাকলানি ‘ভুল’ বলে বিষয়টিকে লঘু করার চেষ্টা করেছেন। এবং দু-তিনদিনের মধ্যে নোটিফিকেশন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
Comments :0