উত্তরের জেলাগুলিতে সোমবার এই মরশুমের শীতলতম দিন পরিলক্ষিত হয়েছে। দিনের বেলাতে বেশী ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব ও কুয়াশার দাপটে সমগ্র উত্তরবঙ্গ সহ দার্জিলিঙ জেলায় হাড় কাপানো ঠান্ডায় জবুথবু সাধারণ জনজীবন।
সমতলের শিলিগুড়িতে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলছে। দার্জিলিঙ পাহাড়েও আবহাওয়া প্রায় একইরকম। এদিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। দার্জিলিঙ, কালিম্পঙ, সিকিম সহ পাহাড়ের সর্বত্র আকাশ মেঘলা। উত্তর সিকিমের কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে সিকিমের বেশ কিছু জায়গায় তুষারপাত চলছেই। দার্জিলিঙ জেলার শিলিগুড়ি শহর সহ সংলগ্ন মহকুমার গ্রামাঞ্চলেও ঠান্ডায় জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠান্ডা হাওয়া শহর জুড়ে। বিগত কিছুদিন ধরে শিলিগুড়িতে ঠান্ডার প্রকোপ সেইরকম না থাকলেও রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই শহরে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। সোমবার সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে ছিলো শিলিগুড়ি শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চল। রবিবার থেকেই কুয়াশার আস্তরন সবসময়তেই বিরাজ করছে। সূর্যের মুখ দেখাই যায়নি। যে কারণে রোদ না ওঠায় দিনের তাপমাত্রাও উঠতে পারেনি। স্বাভাবিকের চাইতে প্রায় ছয় সাত ডিগ্রি কম রয়েছে।
দিনের তাপমাত্রা কম থাকলেও রাতের তাপমাত্রার সেইরকম কিছু হেরফের হবার সম্ভাবনা নেই। গত কয়েকদিনের মতোই রাতের তাপমাত্রা থাকবে বলে সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের কেন্দ্রীয় উপ অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত আবহাওয়ার সেইরকম কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। দিনেরবেলাতে ঠান্ডার দাপট অব্যাহত থাকবে। দুইদিন পরে ধীরে ধীরে দিনের তাপমাত্রা বাড়তেও পারে। দার্জিলিঙ ও কালিম্পং জেলার কিছু জায়গা সহ সিকিমে বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার রাতে অথবা মঙ্গলবার সিকিমের উঁচু জায়গা ও দার্জিলিঙ পাহাড়ের নিকটবর্তী উঁচু জায়গা ফালুট, সান্দাকফু, টাইগারহিলেও তুষারপাত ঘটতে পারে।
সাদা কুয়াশায় আবৃত হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই দৃশ্যমানতা ছিলো না। দৃশ্যমানতা কম থাকায় শিলিগুড়ি শহর ও সংলগ্ন এলাকায় সকালে যানবাহনগুলি গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করেছে। প্রবল শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে জায়গায় জায়গায় দল বেঁধে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। রাস্তাঘাট শুনশান। এদিন শহরের দোকানপাটগুলিও প্রতিদিনের চাইতে অনেকটা দেরিয়েই খুলেছে। মহকুমার গ্রামাঞ্চলও এদিন একেবারেই কুয়াশাচ্ছন্ন ছিলো। এদিন শিলিগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১১ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। দৃশ্যমানতা কম থাকায় এদিন বাগডোগরা বিমান বন্দরে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক দেরিতেই উড়ান ওঠানামা করেছে। যদিও বিমান বাতিলের কোন খবর এখনও পর্যন্ত নেই। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ট্রেন চলাচলও অন্যান্যদিনের চাইতে বিলম্বিত ছিলো।
Comments :0