AFC club licensing

এএফসি ক্লাব লাইসেন্সিংয়ে উত্তীর্ণ মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল , ফেল মহামেডান

খেলা

সদ্য প্রকাশিত এএফসি ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়াতে পাশ করেছে বাংলার দুই প্রধান। মোহনবাগান , ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে মুম্বই সিটি , বেঙ্গালুরু , জামশেদপুর , এফসি গোয়া , চেন্নাইন এফসি , পাঞ্জাব এফসি। এর মধ্যে একমাত্র পাঞ্জাব এফসিই যাবতীয় সব শর্তাবলী মেনে পাশ করেছে লাইসেন্সিংয়ের পরীক্ষায়। তবে পাশ করতে পারেনি মহামেডান , ইন্টার কাশি , চার্চিল ব্রাদার্স , হায়দরাবাদ এফসি , নর্থইস্ট এফসি , ওডিশা এফসি। গত মরশুমে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আইএসএল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল মহামেডান। তবে লাইসেন্সিংয়ের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ায় বেরিয়ে পড়েছে তাদের ক্লাবের অপেশাদারিত্বের কঙ্কালসার চেহারাটা। মরশুম চলাকালীনই ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিনোয়োগকারী সংস্থার প্রকাশ্য বিবাদের কারণে বেতন সমস্যা হওয়ায় অনুশীলনেই নামতেন না ফুটবলাররা। আইলিগ থেকে আইএসএলের মতো পেশাদার লিগে আসলেও কর্মকর্তারা ক্লাব চালাচ্ছেন অপেশাদারি ভঙ্গিতেই। অন্যদিকে ইন্টার কাশি,চার্চিল ব্রাদার্স মধ্যে যেকোনো একটি দল আসন্ন মরশুমে আইএসএলে যোগদান করবে। তাই আরো বেশি পেশাদারি মনোভাব দেখিয়ে দল পরিচালনা করতে হবে এই দুই ক্লাবকেই। বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমস্যার কারণে গত মরশুমে খেলোয়াড় ও কর্মীদের বেতন দিতে পারেনি হায়দরাবাদ এফসি।  এই মরশুমে সেই সমস্যা মিটলেও পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে  লাইসেন্সিংয়ের শর্ত। আগামী মরশুমে তারা তাদের ফ্রাঞ্চাইজ সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দিল্লিতে। ওড়িশা ও ইন্টার কাশির মত দলও ব্যর্থ হয়েছে এই প্রক্রিয়ায়। এই মরশুমে ইন্টার কাশি কল্যাণী স্টেডিয়ামে সমস্ত ম্যাচ খেললেও আইএসএলের জন্য তারা গুয়াহাটি স্টেডিয়ামকে  নিজেদের হোম গ্রাউন্ড হিসেবে দেখিয়েছে। তবে এবার শুধু অর্থ খরচ করেই নয় কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারী সংস্থাকে পেশাদারিত্বের মোড়োকের বেষ্টনীতেই চালনা করতে হবে দলগুলিকে।

Comments :0

Login to leave a comment