শান্তি প্রক্রিয়ায় সমর্থন রয়েছে। কিন্তু বোঝাপড়া স্পষ্ট করতে হবে। আমেরিকার সঙ্গে ইউক্রেনের আলোচনা প্রস্তাবে এই মর্মে প্রতিক্রিয়া দিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন।
পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় দেখা করেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ।
কিছুদিন আগেই সৌদি আরবের জেড্ডায় সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিল আমেরিকা এবং ইউক্রেন। সে সম্পর্কে মতামত জানিয়েছেন পুতিন।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ থামানোর জন্য আমেরিকার রাষ্ট্রপতি তৎপর হয়েছেন বলে বিবৃতি দিয়েছেন পুতিন। ট্রাম্পকে তার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বুঝিয়েছেন যে কেবলমাত্র আমেরিকা শান্তি প্রক্রিয়ায় তৎপর নয়। ‘ব্রিকস’ গোষ্ঠীর দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিন। চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিনের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন রাশিয়া রাষ্ট্রপতি।
পুতিন বলেছেন, মনে হতে পারে যে আমেরিকার চাপে ইউক্রেন শান্তি চুক্তি করতে বাধ্য হচ্ছে। বাস্তব যদিও আলাদা। রাশিয়ার আক্রমণ সামাল দিতে না পেরে ইউক্রেনকে শান্তির কথা ভাবতে হচ্ছে। কুর্স্ক অঞ্চলকে দখলমুক্ত করেছে রাশিয়া।
পুতিন বলেছেন, ৩০ দিনের শান্তি চুক্তিতে আপত্তি নেই। কিন্তু এই ৩০ দিন কোন কাজে ব্যবহার হবে তা স্পষ্ট করতে হবে। এই ৩০ দিন কী ইউক্রেনের হাতে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র মজুত করার জন্য ব্যবহার করা হবে। যদি তা না হয়, তাহলে রাশিয়া সে সম্পর্কে নিশ্চিত হবে কিভাবে? কে নিশ্চয়তা দেবে? কুর্স্কে যারা সেখানকার মানুষের সঙ্গে অন্যায় করেছে তাদের কি বিনা বিচারে ছেড়ে দিতে হবে? নাকি তাদের অস্ত্র-সমর্পণ করতে বলা হবে? রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সীমান্ত প্রায় ২০০০ কিলোমিটার। এই অঞ্চলগুলিতে শান্তি প্রক্রিয়া কিভাবে বজায় থাকবে তা আলোচনা করতে হবে।
পুতিন জানিয়েছেন আলোচনার জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি।
পুতিন বলেছেন সাময়িক সংঘর্ষ বিরতি কোন স্থায়ী সমাধান আনবে না। স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য যে যে কারণ দায়ী সেগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে। সমাধান সূত্র নির্দিষ্ট করতে হবে।
Putin Ukraine Peace
সংঘর্ষ বিরতিতে আপত্তি নেই জানিয়েও একগুচ্ছ প্রশ্ন পুতিনের

×
Comments :0