‘আমরা আমাদের একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছি। ও জীবন দিয়েছে। এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে যে এত দুর্নীতি ও ঘুঘুর বাসা আছে সব বেরিয়ে আসবে।’ সোমবার সোদপুরে আর জি কর হাসপাতালে নিহত ট্রেনি চিকিৎসকের মা এই কথা বলেন।
নির্যাতিতার মা এদিন বলেন, ‘ডাক্তাররা রাস্তায় নেমেছে। সমাজব্যবস্থা কোথায় চলে গেছে। তাদের সময় অনেক মূল্যবান। রোগী দেখতে গিয়ে খাওয়ার সময় পান না এরা। সেই ডাক্তাররা বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে। পথে নেমে এর প্রতিকার চাইছে। ডাক্তারদের আন্দোলন আটকাতে লোহার প্রাচীর দিয়ে দুর্গ বানানো হয়েছে। সমাজব্যবস্থা কোথায় চলে যাচ্ছে। ডাক্তাররা অস্ত্র নিয়ে তো আন্দোলন করতে যায়নি। ফুল নিয়ে গেছে। যেভাবে ডাক্তারদের আটকানো হচ্ছে, সেটা অমানবিক। এরা কি দুর্বৃত্ত?’ পুলিশ কমিশনারকে তীব্র আক্রমণ পুলিশ ওনার সৎসাহস নেই। তাই লোহার ব্যারিকেড তৈরি করেছেন। ডিসি সেন্ট্রাল মিথ্যা কথা বলছেন। সিবিআই তদন্ত চলাকালীন উনি বাধ্য হয়ে মিথ্যা কথা বলছেন। আমরা চাই তদন্ত ভালভাবে এগক। সমস্ত বিষয়টা সামনে আসুক। অপরাধী যেন কঠোর শাস্তি পায়। আর কেউ যেন এভাবে প্রাণ না দেয়। আমার মেয়ের বিচারের দাবিতে সারা দেশ ও বিদেশেও আন্দোলন হচ্ছে। এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওনা। আমি তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ছোট করতে চাই না। এই মানুষগুলোকে পাশে পেয়েছি বলে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা বিচার না পাওয়া অবধি যেন এইভাবেই আমাদের পাশে থাকে।’
নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন, কোভিডের সময় দেখেছি অনেক বয়স্ক মানুষ আমার মেয়েকে প্রণাম করে বলেছেন, ‘দিদি আপনার জন্য আমি প্রাণে বাঁচলাম। ডাক্তারদের মানুষ ভগবান ভাবে। সেখানে কিছু কিছু ডাক্তারদের চরিত্র যদি এরকম হয়, তাহলে নিজেকে নিজে ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করে। এখন মনে হয় আমার মেয়ে ভুল রাস্তা বেছে ছিল। যার জন্য জীবনটা দিতে হলো। আমার মেয়ে এত চেষ্টা করে এই জায়গায় পৌঁছাতে চেয়েছিল। আগে যদি বুঝতে পারতাম তাহলে মেয়েকে যখন ডাক্তার হওয়ার কথা বলতো, তখন বলতাম ডাক্তার হওয়ার দরকার নেই। ডাক্তার হওয়ার জন্য যে সহযোগিতা করেছিলাম, সেটা করতাম না। ডাক্তার হওয়ার জন্য যারা আসছে তারা কে? কিছু কিছু লোক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। এরা কি দুর্বৃত্ত? নির্যাতিতার বাবা বলেন, সিপি’র সৎসাহস থাকা উচিত ছিল। দুর্ভেদ্য প্রাচীর বানিয়ে আন্দোলন আটকাতে চাইছেন। সিপি’র উপর ভরসা ছিল না বলেই আমরা হাইকোর্টে গিয়েছি।’
R G KAR PARENTS
পুলিশ কমিশনারকে তীব্র আক্রমণ মা-বাবার
×
Comments :0