এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার ফেডারেশন। সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেস বিঞ্জপ্তিতে বলা হয়েছে যে, নতুন যেই প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছে তার জন্য প্রতিমাসে বিনামুল্যে পাঁচ কেজি যেই খাদ্য শস্য দেওয়া হতো তা বন্ধ হতে চলেছে। তাদের দাবি খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩ র আওতায় যেই প্রকল্প চলতো তার নাম বদলে করে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে সরকার। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আসল প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা বন্ধ হওয়ার ফলে দেশ জুড়ে ৪৮৪ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বেন রেশন ডিলাররা।
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনাকে কার্যত তুলে দিয়েছে কেন্দ্র। খাদ্য সুরক্ষা আইনের সঙ্গে এই প্রকল্পকে মিশিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সরকারি ঘোষণায়। ৮১.৩৫ কোটি মানুষকে ৫ কেজি শস্য বিনামূল্যে সরবরাহ করার ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু খাদ্য সুরক্ষা আইনে আরও ৫ কেজি পাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে চালের জন্য কেজিতে ৩ টাকা, গমে ২ টাকা, এবং অন্য শস্যে ১ টাকার বিনিময়ে পাওয়ার কথা। কিন্তু তা না থাকায় এই শস্য কিনতে হবে বাজারদরে। যেখানে চালের বাজার দর কেজিতে ৪০ টাকা ছাড়িয়ে, গমের বাজারদর কেজিতে ৩০ টাকার বেশি।
৫ কেজি শস্য খাদ্য সুরক্ষা আইনে ঠিক করা দামেই তাঁদের দিতে হবে বলে গত ২৮ ডিসেম্বর বিবৃতি জারি করা হয় সিপিআই(এম) পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য গোটা দেশে বায়োমেট্রিকের মাধ্যে এখন রেশন দেওয়া হয়। যার ফলে গ্রাহক সংখ্যা অনুযায়ী খাদ্য সামগ্রী আসে। তবে এই বায়োমেট্রিককে কেন্দ্র করে একাধিক সমস্যাও রয়েছে। যার জন্য অনেকে রেশন থেকে বঞ্চিতও হচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক ঠাক বরাদ্দ পাঠাচ্ছে না বলে বহু রাজ্য সরব হয়েছে আগে। সূত্রের খবর উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং দিল্লিতে বরাদ্দ খাদ্য সামগ্রী আসছে না। যার ফলে টান পড়ছে রাজ্য গুলিতে এই পরিস্থিতিতে যেই রাজ্য গুলিতে বরাদ্দ বাকি রয়েছে তাদের তা দেওয়ার দাবি করেছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার ফেডারেশন। সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, আগামী বাজেট অধিবেশনের পরেও যদি তাদের সমস্যার সমাধান না হয় তবে ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি দেশ জুড়ে রেশন ধর্মঘটের ডাক দেবেন তারা। তাছাড়া ২০ মার্চ দিল্লির রামলীলা ময়দানে জমায়েত করে সংসদ অভিযান করবেন।
Comments :0