ধূপগুড়ি হাইস্কুলের সামনে প্রতিবাদে শামিল ধর্মঘটী শিক্ষকরা। সিউড়িতে বীরভূম জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে কর্মীরা। কাকদ্বীপে মহকুমা সহকারী ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তরের সামনেও বসে রয়েছেন কর্মচারীরা।
তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের সরকারের হুমকি উড়িয়ে ধর্মঘটের নজির দেখছে বাংলা। শুক্রবার রাজ্যের সর্বত্র শিক্ষক, সরকারি কর্মচারীরা শামিল প্রতিবাদে। ধর্মঘটে যোগ দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নোটিশ পাঠিয়েছে রাজ্য।
কর্মচারীরা বলছেন ডিএ’র দাবি সঙ্গত। আদালতে রাজ্য হেরে গিয়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন টাকা নেই। সাড়ে ৬ লক্ষ শূন্যপদ রাজ্যে। সেই টাকা কোথায় গেল?
কেবল ডিএ নয়। শূন্যপদে যোগ্য বেকার যুবকদের স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের দাবিও তুলেছেন কর্মচারীরা। সমাজের সব অংশের সাড়া মিলেছে সেই দাবিতে। স্কুলে ধর্মঘটের ছাত্র এবং অভিভাবকদের সমর্থনের ছবি স্পষ্ট।
শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটার কিছু আগেই রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটে সমর্থনের স্পষ্ট বার্তা দিলেন জনতা। আগেই সংহতির বার্তা দিয়েছেন কলকাতায় অবস্থানরত যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চ। এমন সমর্থনের বার্তা সব স্তরে।
উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লক অফিসের সামনে সরব জমায়েত কর্মচারীদের। বসিরহাটে মহকুমা আদালত চত্বরে যৌথ মঞ্চ শামিল প্রতিবাদে, প্রতিরোধে।
‘টাকা নেই’ যুক্তি খারিজ করেছে গত কয়েকমাসের ঘটনাক্রম। তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের নেতা মন্ত্রীদের বেলাগাম দুর্নীতি, নোটের তাজা বান্ডিল উদ্ধারের ছবি দেখেছেন রাজ্যবাসী।
দেখেছেন দলের নেতার দিল্লিতে জেরা আটকাতে আদালতে সওয়ালে কোটি কোটি টাকা খরচের হিসেব।
সব স্তরে কথা উঠেছে, কয়লা-বালি-গরু পাচারে জড়িতরা আর যাই হোক মানুষকে, শ্রমজীবীকে টাকা দিতে রাজি নয়। তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ খরচের যুক্তি সাজিয়েছিলেন।
যেন সরকারি কর্মীদের টাকা দিতে গেলে সামাজিক খাতে খরচ করা যাবে না। শ্রমজীবীর একপক্ষকে অন্যপক্ষের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
শুক্রবার রাজ্যের ছবি দেখাচ্ছে সেই চেষ্টা টেকেনি। সর্বতো সমর্থন মিলেছে মানুষের।
Comments :0