চন্দন দাস: কক্সবাজার
‘রোহিঙ্গা’ (Rohingya) তোমরা কোথাকার? উত্তরে বলাই যায় কোথারই নয়। এদের কোনও দেশ নেই, কোনও ভিটে নেই, সর্বোপরি কোনও জীবন নেই। শরণার্থী শিবিরেই তাঁদের জীবন কেটে যাচ্ছে। তা সে বাংলাদেশ (Bangladesh) হোক বা ভারত। তবে ভারতের তুলনায় কিছুটা ভালোভাবে সেদেশে রয়েছেন রোহিঙ্গারা। কারণ আমদের দেশে তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাদের অন্তত পক্ষে শরণার্থী (Refugee) হিসেবে গ্রহণ করছে। কিন্তু শিবিরের বাইরে কাজ করার অধিকার তাঁদের নেই।
বাংলাদেশের কক্সবাজার (Cox Bazaar)জেলার কুতুপালংয়ে শরণার্থী শিবিরে রয়েছে প্রায় ১০ লক্ষের বেশি রোহিঙ্গা। ২০১৭ থেকে বিভিন্ন উপায়ে বর্মা থেকে তারা আসছেন সেখানে। ৩৪টি কলোনিতে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ এবং আড়াই লক্ষের বেশি শিশুর বাস।
শরণার্থী শিবিরেই রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য রয়েছে ৫০টি স্কুল। সেখানে ১০০ জন শিক্ষক, তাদের মধ্যে ৩৭জন মহিলা (Lady teacher)। ১০০জন শিক্ষকের (Teacher) মধ্যে ৫০জন বাংলাদেশের বাসিন্দা। বাকিরা বার্মার, অর্থাৎ রোহিঙ্গা শিক্ষক। শরণার্থী শিবিরে রয়েছে বেশ কয়েকটি চিকিৎসা কেন্দ্র। সেগুলি বেশিরভাগই পরিচলনা করে বাংলাদেশ সরকার।
Ganashakti representative Chandan Das in Bangladesh Rohingya refugee camp pic.twitter.com/EBucyCDguU
— GANASHAKTI (@GANASHAKTI1) January 9, 2023 ">
Ganashakti representative Chandan Das in Bangladesh Rohingya refugee camp pic.twitter.com/EBucyCDguU
— GANASHAKTI (@GANASHAKTI1) January 9, 2023
রোহিঙ্গাদের রেশন কার্ডের মতো একটি বিশেষ কার্ড দেওয়া হয়েছে। তা থেকে পরিবার পিছু কিছু খাবার পান তাঁরা। কিন্তু নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে তাঁদের যাওয়ার অধিকার নেই। রোহিঙ্গা যুবক-যুবতীরা কাজ চান, উপার্জন করতে চান। কিন্তু কাজ করতে পারেন না, কারণ সরকার তাদের সে অনুমতি দেয়নি। আয়ের জন্য রোহিঙ্গা শিবিরে তাঁরা দোকান খুলেছেন। নিয়মিত বাজারও বসে। কিন্তু খদ্দের সীমিত। প্রয়োজন ছাড়া বিশেষ কেউ কিছু কিনতেও আসে না। তাই আয়ের পরিমানও সীমিত। ইটপাতা রাস্তায় পাশে সারি দিয়ে ছোট ছোট ঘর। মূলত বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি। বৃষ্টির জল ও ঠান্ডা হাওয়া আটকাতে ঘরের দেওয়ালে ছাদে আটকানো হয়েছে ত্রিপল বা প্লাস্টিক। ছোট ছোট বাড়িগুলিতে ঘরের সংখ্যা একটি বা দু’টি। কমিউনিটি শৌচালয় (Community Toilet), পালা করে পরিষ্কার রাখেন তারাই। দোকান বলতে বাঁশের মাচা কিংবা মাটিতে প্লাস্টিক পেতে জিনিস বিক্রি করা। ভ্যান, রিক্সা, অটোতে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে। এই হচ্ছে মূলত শরণার্থী শিবিরগুলোর সার্বিক চিত্র।
Comments :0