School Girl Dies

টয় ট্রেনের ধাক্কায় জখম ছাত্রীর মৃত্যু

জেলা

ইনসেটে মৃত ছাত্রীর ছবি।

টয়ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতরভাবে আহত তরুনীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ওই তরুনী মারা যায়। ঘটনায় দার্জিলিঙ শৈলশহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত তরুনীর কার্শিয়াঙের মকাইবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রোশনি রাই(১৫)। নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। ঘটনায় আহত হয়েছে মৃত তরুনীর দিদি প্রতীক্ষা রাই(১৯)। কানে হেডফোন লাগিয়ে কার্শিয়াঙ বাজারের কাছে টয়ট্রেনের রেললাইন পারাপারের সময়তেই বিপত্তি ঘটে। পেছন থেকে টয়ট্রেন ধাক্কা মারার পর অনেকটা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় তরুনীকে। গুরুতর জখম অবস্থায় দুই বোনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে কার্শিয়াঙ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসার পরে দিদি প্রতীক্ষাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, অবস্থার অবনতি ঘটলে রোশনিকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে অনেক রাতে ওই তরুনীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে রোশনি রাইয়ের মৃত্যু হয়। 
এদিকে সোমবারের এই দুর্ঘটনার পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দার্জিলিঙ হিমালয়ান রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দফায় দফায় কার্শিয়াঙ রেলস্টেশনে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। পরিবারের পক্ষ থেকেও রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। মঙ্গলবারও কার্শিয়াঙ রেল স্টেশনে মৃত তরুনীর ছবি হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন স্থানীয়রা। যদিও অভিযোগ মানতে নারায় ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ। দার্জিলিঙ হিমালয়ান রেলের ডিরেক্টর রিশভ চৌধুরী জানিয়েছেন, কানে হেডফোন লাগিয়ে দুই তরুনী রেললাইন ধরে যাচ্ছিলো। লোকো পাইলট একাধিকবার হুইশেল বাজালেও কানে হেডফোন থাকায় তারা শুনতে পারেনি। টয়ট্রেনও একটি যন্ত্র। কিন্তু টয়ট্রেনের ধীরে চলার বিষয়টি অনেকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। ফলে এই দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে রেলের কোনরকম গাফিলতি নেই।

Comments :0

Login to leave a comment