আবাস যোজনার কারচুপিতে খেপে উঠছেন মানুষ। সমীক্ষার নামেই, আসলে কোনও কাজ হচ্ছে না। ১০-১২ হাজার টাকা লুটের ব্যবস্থা হচ্ছে। বুধবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। আবাস যোজনা নিয়ে সরকারের কাছে চারদফা দাবিও তুলেছেন তিনি।
চক্রবর্তী বলেছেন, কাঁচা বাড়ি রয়েছে এমন প্রত্যেকের নাম প্রথমেই তুলতে হবে তালিকায়। দু্ই, পাকা ছাদওয়ালা বাড়ি রয়েছে এমন লোকজনের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। তিন, ভুয়ো তালিকা যে আধিকারিকদের বানিয়েছিলেন তাঁদের শাস্তি দিতে হবে। চার, কারচুপিতে তৃণমূলের যারা জড়িত, আবাসের জন্য কাটমানি নিয়েছে, ব্যবস্থা নিতে হবে তাদের বিরুদ্ধেও
এদিন কলকাতায় মুজফ্ফর আহ্মদ ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সন্ধ্যায় মহেশতলায় সিপিআই(এম)’র ডাকে জমায়েতেও ভাষণ দেন।
চক্রবর্তী বলেন, সমীক্ষার দায়িত্ব দিতে হবে বিডিও বা তার ওপরের স্তরের আধিকারিকদের। কাজের নিরাপত্তা নেই আশাকর্মী-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। তাঁদের ঘাড়ে বন্দুক রাখা হচ্ছে। এই দুর্নীতি তাঁরা কিভাবে ঠেকাবেন? ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ৪০ হাজার করে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। যেভাবে চলছে তাতে সোজা ১০-১২ হাজার কোটি টাকা লুট হবে। দুর্নীতি ঠেকাতে লড়াই চলবে।
জনসভায় তিনি বলেন, তৃণমূল এবং বিজেপি’র নীতির কারণে জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন মানুষ। মানুষের দাবি নিয়ে লড়াই করছে লাল ঝান্ডা। বুধবার মহেশতলার সন্তোষপুরে এই জমায়েত হয় সিপিআই(এম) মহেশতলা ১ এরিয়া কমিটির আহ্বানে। রতন বাগচী, প্রতিক ঊর রহমান, প্রভাত চৌধুরী, আরশাদ আলিও বক্তব্য রাখেন। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টিনেতা অনিল পান্ডে।
Comments :0