প্রত্যেক বিএলও-দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে, প্রশাসনিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে তৃণমূল মৃত ও ভুয়ো ভোটারদের নাম রেখে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার সিইও দপ্তরে গিয়ে এই অভিযোগ জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ও শিক্ষকদের যুক্ত আন্দোলন মঞ্চ ‘১২ই জুলাই কমিটি‘।
এই মঞ্চ বলেছে, বিএলও-দের দিয়ে ফর্ম বিলি এবং জমা নেওয়া ছাড়া অন্য কাজ করানো যাবে না।
উল্লেখ্য, মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় বিএলও-রা অতিরিক্ত কাজের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন।
শ্রমিক কর্মচারী ও শিক্ষকদের যুক্ত আন্দোলন মঞ্চ ১২ই জুলাই কমিটি পক্ষ থেকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঙ্গে বৈঠক এই অভিযোগই করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়।
‘১২ ই জুলাই কমিটি’-র পক্ষ থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক সুমিত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে সিইও’র কাছে দাবি করা হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত সমস্ত বিএলও-রা যাতে সুষ্ঠুভাবে ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তার দায়িত্ব নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বিএলও-দের উপর চাপও সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা এখনও নেইনি কেন তার দিকে নজর দিতে হবে। নিয়মমাফিক কাজ করার জন্য কোনও বিএলও-কে যেন সমস্যায় না পড়তে হয় তা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে। সমস্ত রাজনৈতিক দলের বিএলএ-দের সচিত্র পরিচয় পত্র দেওয়ারও দাবি করেন তাঁরা।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা বলেন, "নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলো যে প্রতিটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের একজন করে বিএলএ থাকতে পারবেন। কিন্তু গোটা রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে যে ছবি আসছে তা দুঃখজনক। দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের একাধিক কর্মীর বিএলও-দের সঙ্গে ঘুরছেন। ফর্ম বিলিও তারাই জোর করে করছেন, যা তাঁর কাজ নয়। বিএলও-দের কাজে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।"
Comments :0