US Bombing Yemen

ইয়েমেনে আমেরিকার বোমায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১

আন্তর্জাতিক

ইয়েমেনে ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। অন্তত ৩১ জন নিহত বলে জানাচ্ছে ইয়েমেন। আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।  
ইজরায়েল এবং আমেরিকা বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী হউথিদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে আক্রমণ চলছে বলে দাবি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তবে হউথি নিয়ন্ত্রত এলাকার প্রশাসন বলেছে যে নিরস্ত্র নাগরিক বসতিতে বোমা ফেলছে আমেরিকা। এই দখলদারি মেনে নেওয়া হবে না। পালটা হামলা হবে। 
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করে রেখেছিলেন যে ইয়েমেনে হামলা হবে। রবিবার তাঁর নিজের মালিকানায় চালানো সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে ফের মুখ খুলেছেন ট্রাম্প। 
ট্রাম্প লিখছেন, ‘হউথি গুন্ডাবাহিনী আমেরিকার বিমান লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। এরা জলদস্যু। সন্ত্রাস এবং হিংসা চালায়। লোহিত সাগরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত। শ’য়ে শ’য়ে কোটি ডলারের বাণিজ্য আটকে যাচ্ছে।’’ 
ইয়েমেনে হউথি উত্থান হলেও সম্প্রতি এই সশস্ত্র গোষ্ঠী আলোচনায় এসেছে ইজরায়েলের বিরোধিতার কারণে। গাজায় ইজরায়েলের আগ্রাসনের বিরোধিতা করার পাশাপাশি সমুদ্রপথে একাধিক জাহাজ দখল করেছে। 
আমেরিকা হউথিদের মদতের জন্য ইরানকে দায়ী করে। তবে তাদের মদতে ইজরায়েল গাজায় শিশু এবং মহিলাদের ওপর লাগাতার হামলা চালালে চোখ বুঁজে থাকে। এই মর্মে অভিযোগ তুলে সরব বিভিন্ন অংশ। 
হউথি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল। সানা বিমানবন্দরে বোমা ফেলেছে আমেরিকা। 
হউথির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমেরিকা এবং ব্রিটেন যৌথ আক্রমণ চালাচ্ছে। সানার ঘন বসতি রয়েছে এমন এলাকায় ফেলা হচ্ছে বোমা। 
ইয়েমেনের সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমদের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী বলা হয় হউথিদের। হুসেন আল হউথির নেতৃত্বে আন্দোলনের সূত্রে গোষ্ঠীর নামকরণ হয়েছে। ২০০০ সালের পর থেকে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপতি আলি আবদুল্লা সালের বিরুদ্ধে একাধিক বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছে হউথিরা।

Comments :0

Login to leave a comment