‘‘সারা দেশেই মহিলাদের ওপর নির্যাতন চলছে। দেশের সামাজিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু মণিপুরের ঘটনা বেনজির মাত্রার। সাম্প্রদায়িক এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আবহে নির্যাতিত হয়েছেন মহিলারা। অন্য কোনও জায়গার ঘটনার তুলনা দিয়ে এই নির্যাতনকে বৈধতা দেওয়া যায় না।’’
মণিপুরে মহিলাদের ওপর নির্যাতন এবং বিদ্বেষজনিত সংঘর্ষ নিয়ে মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
কেন্দ্রের আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা ঠিক কী চাইছেন, সব মহিলার সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে না কারও সুরক্ষাই নিশ্চিত করা হবে না?’’
মণিপুরের পরিস্থিতিকে হালকা করে দেখানোর চেষ্টায় রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ বা ছত্তিশগড়ের তুলনা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীর্ঘ নীরবতার পর মুখ খুলতে বাধ্য হলেও, ২০ জুলাই, বিরোধীদের পরিচালিত রাজ্যের তুলনা টানার কৌশল নেন।
ঘটনার চোদ্দ দিন পরও কেন দায়ের হয়নি জিরো এফআইআর। রাজ্যে এমন কত মারাত্মক অভিযোগ দায়ের হয়েছে সেই তথ্য কেন্দ্রে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার থেকে চান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
মণিপুরে উত্তেজনা চলছে সোমবারও। চূড়াচাঁদপুরে সংখ্যালঘু কুকি-জো জনগোষ্ঠীর প্রায় ১ হাজার মহিলা রাস্তা অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, পুলিশকে ফিরে যেতে হবে এলাকা থেকে। পুলিশের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ রয়েছে এলাকায়। চূড়াচাঁদপুরের ছোট্ট শহর মোরেহতে হয় এই রাস্তা অবরোধ।
মণিপুর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য সব অংশই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। সোমবারও সংসদের দুই কক্ষেই বিশদ আলোচনার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী রাজনৈতিক বিন্যাস ‘ইন্ডিয়া’-র সদস্যরা। এদিন রাজ্যসভার নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল স্বল্প সময়ের আলোচনার প্রস্তাব রাখেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের কাছে।
বিরোধীরা এই প্রস্তাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির ভিত্তিতে বিশদে আলোচনা হবে, স্বল্প সময়ে কয়েকটি কথা বলার মতো ছোট্ট বিষয় নয় মণিপুরের পরিস্থিতি।
Comments :0