কারচুপি করেও হয়নি শেষ রক্ষা। মানুষের রায়ে রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। ঘুরপথে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। হত্যা করা হচ্ছে গণতন্ত্রকে। রবিবার এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে কড়া ভাষায় চিঠি দিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা পাব্লিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারপার্সন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ১১ সেপ্টেম্বর কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু ক্ষমতার লোভে তৃণমূলের নেতারা সেই নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে চাইছে। স্থানীয় পুলিশ তৃণমূলের এই চক্রান্তের শরিক। লুটের রাজত্ব বহাল রাখতে গণতন্ত্রকে হত্যা করতেও পিছপা হচ্ছেনা রাজ্যের শাসক দল। সারা রাজ্যের মত রানিনগরেও চেষ্টা চলছে যে কোনও উপায়ে পঞ্চায়েত সমিতিকে বিরোধী শুন্য রাখার।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের রানিনগরে সংঘর্ষ ঘিরে ৩৬ বাম-কংগ্রেস নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেস নেতা মহম্মদ কুদ্দুস, সিপিআই(এম) রানিনগর এরিয়া কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম সহ ব্লকের শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে ৫৯ জন সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস সংগঠকের বিরুদ্ধে। বাম কংগ্রেসের অভিযোগ, মনোনয়ন জমায় বাধা, ভোট লুট, গণনায় কারচুপি করেও রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি তৃণমূল। সম্মিলিত ভাবে বোর্ড গঠন করেছে বাম এবং কংগ্রেস। সেই আক্রোশেই পুলিশকে ব্যবহার করে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন বানচালের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রানিনগরের গোধনপাড়ায় বিজয় সমাবেশের ডাক দেয় কংগ্রেস। সেখানে সিপিআই(এম)’কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। সমাবেশে অধীর চৌধুরীর পাশাপাশি সিপিআই(এম)’র মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সম্পাদক জামির মোল্লা বক্তব্য রাখেন। সেই সভাকে ঘিরে প্ররোচনা ছড়ায় পুলিশ এবং তৃণমূল। জনরোষে আক্রান্ত হয় পিডাব্লিউডি’র জমির উপর অবৈধ ভাবে তৈরি হওয়া তৃণমূলের পার্টি অফিস। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বাঁচাতে গেলে আক্রান্ত হয় পুলিশও। জনতার ক্ষোভ রানিনগর থানাতেও আছড়ে পড়ে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির ৩১ আসনের মধ্যে ১৮টি জিতেছে বাম-কংগ্রেস।
Comments :0