Bankura School

তছরুপের অভিযোগে বাঁকুড়ার স্কুলে ঘেরাও প্রধান শিক্ষককে, এলাকাছাড়া তৃণমূলের নেতাও

জেলা

বাঁকুড়া থানার বাঁকুড়া-২ নম্বর ব্লকের মানকানালী গ্রাম পঞ্চায়েতের মগরা হাইস্কুলে উত্তেজনার ছবি।

সরকারি টাকা পড়ে রয়েছে ৬ বছর। খরচ হয়নি। এই অভিযোগে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ বাকি শিক্ষকদের আটকে রাখলেন গ্রামবাসীরা। এলাকা ছেড়েছেন তৃণমূলের নেতা এবং স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতিও। 
বুধবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানিয়েছেন যে তদন্তে তছরুপ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন এই বিষয়টি নিয়ে মগরা গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা ছিল। 
বাঁকুড়া থানার বাঁকুড়া-২ নম্বর ব্লকের মানকানালী গ্রাম পঞ্চায়েতের মগরা হাইস্কুলে উত্তেজনা ছড়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। প্রধানশিক্ষক এবং শিক্ষকদের ঘেরাও করে রাখেন গ্রামবাসীরা। এই দিন পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে ঘেরাও মুক্ত করে প্রধান শিক্ষক সহ বাকিদের।  
ওই দিন স্কুলের তরফ থেকে অভিভাবক, অভিভাবিকাদের নিয়ে সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে অভিভাবকরা জানতে চান যে ২০১৯ সালে স্কুলের উন্নয়নের জন্য সরকারের দেওয়া ৫৪ লক্ষ টাকায় কী কাজ হয়েছে তা জানাতে হবে। বিগত ৬ বছর ধরে ওই টাকায় কোনও কাজ হয়নি কেন। 
অভিভাবক স্বপন কর্মকার জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুকেশ পাত্রের কাছে যতবারই টাকার হিসাব চাওয়া হয়েছে পাওয়া যায়নি। তিনি হিসেব দিতে চাননি। 
এই স্কুলেরই পরিচালন কমিটির সভাপতি বাঁকুড়া-২ ব্লকের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি বুদ্ধদেব শর্মা। একাধিক অভিভাবকের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন কমিটির সভাপতি দুজনে মিলে এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। 
বুধবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, ওই টাকা স্কুলের অ্যাকাউন্টেই আছে। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার জন্য কাজ করা যায়নি। 
এলাকাবাসীর প্রশ্ন, কী এমন অসুস্থতা যে পাঁচ বছর ধরে কোনও কাজ হলো না? 
প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ওই টাকায় স্কুলের দু’টি বিল্ডিং, সীমানা প্রাচীর ও সংস্কার করা হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয়রা এই কথা বিশ্বাস করছেন না। 
এদিন পরিচালন কমিটির সভাপতি তৃণমূলের নেতা বুদ্ধদেব শর্মা টেলিফোনে বলেন যে ওই টাকা যে স্কুলের অ্যাকাউন্টে রয়েছে তা প্রধানশিক্ষক তাঁকে জানাননি। দীর্ঘদিন পরিচালন কমিটি পুনর্গঠনও হয়নি। 
কিন্তু পরিচালন কমিটির সভাপতি বিষয়টি জানেন না এটা কেউই মানতে রাজি নন। 
বুধবার বাঁকুড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পীযূষকান্তি বেরা জানান, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এই স্কুলকে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। খরচের হিসাব প্রধানশিক্ষক জমা দেননি। তিনি তছরুপের অভিযোগে তদন্ত শুরু করা হবে। তছরুপের বিষয় প্রমাণ হলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Comments :0

Login to leave a comment