বুধবার থেকে মধ্যপ্রদেশের হোলকার স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা দল। সুদীপ ঘরামি এবং অনুষ্টুপ মজুমদারের জোড়া শতরানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রান করে বাংলা। মধ্যপ্রদেশের হয়ে কুমার কার্তিকেয় ৩টি এবং অনুভব আগরওয়াল ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মধ্যপ্রদেশের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৭০ রানে। মধ্যপ্রদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন সারাংশ জৈন। মধ্যপ্রদেশকে স্বল্প রানে বেঁধে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন বাংলার আকাশদীপ। তিনি ৪২ রানে ৫ উইকেট সংগ্রহ করেন।
মধ্যপ্রদেশের ইনিংস শেষে বাংলা এগিয়ে ছিল ২৬৯ রানে। কিন্তু তারপরেও ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত না নিয়ে ফের একবার ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। এর মাধ্যমে একদিকে তিনি হোলকার স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করার ঝুঁকি এড়ান, তেমনই দলের বোলাররা পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ পান অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তে।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার সংগ্রহ ছিল ২৭৯ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। বাংলা শিবিরের ক্ষোভ, আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্য শতরান হাতছাড়া হয়েছে অনুষ্টুপের। এছাড়াও ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক। মধ্যপ্রদেশের হয়ে ৬ উইকেট নেন সারাংশ জৈন। ৩টি উইকেট নেন কুমার কার্তিকেয়। সব মিলিয়ে বাংলার লিড দাঁড়ায় পর্বতসমান ৫৪৮ রান।
সেই রান তাড়া করতে নেমে ২৪১ রানে গুটিয়ে যায় মধ্যপ্রদেশের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন রজত পাতিদার। বাংলার হয়ে প্রদীপ্ত প্রামাণিক সংগ্রহ করেন ৫ উইকেট। সব মিলিয়ে বাংলা জয় পেল ৩০৬ রানে। অপর সেমিফাইনালে কর্ণাটককে হারিয়ে দিয়েছে সৌরাষ্ট্র। তারফলে ইডেনে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রনজি ফাইনাল খেলতে নামবে বাংলা।
Comments :0