স্থানীয়দের দাবি সন্ধ্যার ওই ঘটনার পর ভোর রাতে এলাকায় শুরু হয় বোমাবাজি। সিসিটিভি ফুটেজে সেই ছবি ধরা পড়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযোগ এই ঘটনায় তারা যুক্ত। প্রশ্ন উঠছে কি ভাবে পুলিশের সামনে দিয়ে কলকাতায় বেআইনি অস্ত্রের আমদানি হচ্ছে। কারা এই অস্ত্র দুস্কৃতীদের কাচে পৌঁছে দিচ্ছে।
বাইপাস সংলগ্ন কলকাতা পৌরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে এই গুলশন কলোনী। বেআইনি নির্মান, পুকুর ভরাট, ভেড়ি দখলকে কেন্দ্র করে বার বার উত্তপ্ত হয়েছে এই এলাকা। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের কথায়, এলাকায় বেআইনি অস্ত্র মজুত হওয়ার কথা পুলিশকে জানানো হয়েছিল। এখান থেকে স্পষ্ট শাসক দলের কাউন্সিলর এবং পুলিশ জানানে এলাকায় বেআইনি অস্ত্রের আমদানি হচ্ছে। তাহলে কেন কোন পদক্ষেপ পুলিশ নিলো না?
কয়েক মাস আগে সুশান্ত ঘোষকে তার বাড়ির সামনেই গুলি করে খুন করার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় একজন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়, অভিযোগ ওই যুবককে বিহার থেকে আনা হয়েছিল কাউন্সিলরকে মারার জন্য। বলে রাখা দরকার সুশান্ত ঘোষ এবং কসবার বিধায়ক জাভেদ খানের গোষ্ঠী কোন্দল এই এলাকায় পরিচিত। সুশান্ত যখন ১০৭ এই কাউন্সিলর ছিলেন সেই সময় থেকেই তাদের কোন্দল। এখন প্রশ্ন এটাই জমি, ভেরি দখল, বেআইনি নির্মানের ওপর দখলের জন্যই কি বার বার অশান্ত হচ্ছে গুলশন কলোনী এবং যার জেরে আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের।
মন্তব্যসমূহ :0