এজরা স্ট্রিটে আগুন লাগার ঘটনায় পৌরসভার দিকে সরাসরি আঙুল তুললেন কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক। তিনি বলেন, ‘২২ বার আগুন লেগেছে। পৌরসভা প্রশাসনকে বলেও কিছু কাজ হয়নি।’
তিনি বলেন, দমকল, কলকাতা পুলিশকে বার বার আগুন লাগার কথা জানিয়ে কাজ হয়নি। একদিকে কাউন্সিলর যখন প্রশাসনিক গাফিলতির কথা বলছে তখন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মুখে বেআইনি নির্মানের কথা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র বলেন, ‘বাড়িটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক পুরনো। এখন ভিতরে যদি কেউ কোন বেআইনি নির্মান করে থাকে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমি বলছি না এটা বেআইনি নির্মান। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বিষয়টা।’
উল্লেখ্য কাউন্সিলর জানানোর পরেও কেন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না সেটা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ব্যবসায়ীদের কথায় তারা বার বার বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়ে কোন কাজ হয়নি। একজন ব্যবসায়ীর কথায়, মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের সমস্যা হতো। অনেক জায়গায় আমরা বলেছি কিন্তু কেউ কিছু করেনি।
শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ এই আগুন লাগে। ১৭ এজরা স্ট্রিটের ১২ তলায় এক গুডামে আগুন লাগে। ঘিঞ্চি এলাকা হওয়ায় খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দ্রব্য পদার্থ থাকার কারণে আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে দেখা যায়। দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুরো চত্বর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। দমকলের একের পর এক ইঞ্জিন আসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে হাত লাগাতে। যদিও এখনো পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বেশ কিছু পকেট ফায়ার এখনো রয়েছে যা নেভানোর কাজ চালাচ্ছে দমকল কর্মীরা। কোনও হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে শট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে।
উল্লেখ্য, এই এলাকায় বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকান রয়েছে। বহু টাকার ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Ejra Street fire
আগুন লাগার ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতিকে নিশানা কংগ্রেস কাউন্সিলরের
×
Comments :0