নগদ ৫০ হাজার টাকার বিনিময় একমাসের শিশুকে বিক্রি করতে এসে সাধারণ মানুষের কাছে ধরা পড়লো এক দম্পতি। জানা গেছে, সোমবার সকালে ওই দম্পতি মালবাজার শহর লাগোয়া রাজা চাবাগানের পাকা লাইন শ্রমিক মহল্লা এলাকায় ওই শিশুকে বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। তখন সেই এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন ওই দম্পতি। সেখান থেকে পালিয়ে আসেন মালবাজার পুরনো রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে। তাঁদের পিছু নিয়ে শ্রমিক মহল্লার লোকজন রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় চলে আসেন এবং সেখানকার মানুষদের জানান সেই দম্পতির বাচ্চা বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে। খবর ছরিয়ে পড়তেই সেই দম্পতিকে ঘিরে ধরেন দৈনন্দিন বাজারের ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ। তাঁদেরকে ঘিরে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে যে দম্পতির নাম রাজেশ মিশ্রা ও অনিতা ওরাও যদিও অনিতা ওরাও। আধার কার্ডে তাঁর স্বামীর নাম ভিন্ন রয়েছে। রাজেশ মিশ্রা বানারহাটের কারবেলা বাগানের বাসিন্দা এবং অনিতা ওরাও বানাহাটের দেবপাড়া চা বাগানের বাসিন্দা। তাঁদের কথায় অনেক অসংগতি ধরা পড়ে। কখনও তাঁরা বলেন বাচ্চার বয়স দুমাস, কখনও বলেন বাচ্চার বয়স ২২ দিন। কখনও বলেন তাঁরা ডাক্তার দেখাতে মালবাজার শহরে এসেছিলেন। ক্যামেরার সামনে নির্দ্বিধায় বাচ্চা বিক্রির অভিযোগ স্বীকার করে নেন। যদিও এ ব্যাপারে মালবাজার শহর লাগোয়া পাকা লাইন এলাকার বাসিন্দারা বলেন আজ সকালে এক দম্পতি টোটো করে এসে এখানে এক মাসের একটি বাচ্চা বিক্রির ফন্দি করেছিল। তারা সেই বাচ্চার দাম ৫০ হাজার টাকা সকলকে জানাচ্ছিল। এলাকার মানুষজন এরূপ ঘটনা দেখে তাঁদেরকে সেখানে ঘিরে ধরে। বেগতিক দেখেই তারা সেখান থেকে পালায়। মালবাজার স্টেশন রোডের ব্যবসায়ী সঞ্জয় বাসফোর বলেন বেশ কিছুক্ষণ ধরে তারা এই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল, আমরা পাকালাইন এলাকার মানুষদের অভিযোগ পেয়েই পুলিশকে খবর দেই। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মালবাজার থানার পুলিশ। এরপর দ্বন্দ্ব বাদে কারা সেই এলাকা থেকে সেই দম্পতিকে আটক করে নিয়ে যাবেন? রেলওয়ে পুলিশ না মালবাজার থানার সাধারণ পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ চাপানউতরের পর শেষ পর্যন্ত মালথানার পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় মালবাজার বাজার এলাকায়। তবে ওই দম্পতি আসলেও ওই শিশুর বাবা মা কী না বা কী উদ্দেশ্যে তাঁরা ওই শিশুকে বিক্রি করার চক্র সাজিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে মাল থানার পুলিশ।
malbazar
একমাসের শিশুকে বিক্রি করতে এসে মালবাজারে গ্রেপ্তার দম্পতি

×
Comments :0