কলকাতা কর্পোরেশনের বাজেট আধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে তৃণমূল পরিচালিত কর্পোরেশনের দাবিগুলি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুললেন সিপিআই(এম) কাউন্সিলর নন্দিতা রায়।
শনিবার থেকে কলকাতা কর্পোরেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। প্রথম দিনে বাজেট পেশ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তারপরেই অধিবেশন মুলতুবি করে দেন কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন মালা রায়। ফলে সোমবার অর্থাৎ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয় বাজেটের উপর আলোচনা।
এদিন বাজেটের উপর আলোচনা করেন ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই(এম) কাউন্সিলর নন্দিতা রায়। তিনি মেয়রের বাজেট বক্তৃতার অন্ত:সার শূন্য দাবিগুলি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
নন্দিতা রায় বলেন, বাজেটে মেয়রের তরফে বারবার বলা হয়েছে, কর্পোরেশন সম্পত্তি কর থেকে বিপুল পরিমাণ আয় বাড়িয়েছে। কিন্তু এর পূর্ণাঙ্গ কোনও খতিয়ান পেশ করা হয়নি বাজেটে। তারফলে কলকাতা শহর থেকে সম্পত্তি কর বাবদ আনুমানিক কত টাকা আয় করা যেতে পারে, এবং তারমধ্যে কত টাকা আয় করা যাচ্ছে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্যই নেই বাজেটে।
নিজের বাজেট বক্তৃতায় মেয়রের তরফে বলা হয়, ঠিকা টেনেন্সি সংক্রান্ত আইনে বদল এনেছে রাজ্য সরকার। তারফলে ঠিকা সম্পত্তিতে বাড়ি বানাতে গেলে নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে আর কোনও সমস্যা হবেনা। মেয়রের দাবি, এরফলে কলকাতা কর্পোরেশনের বস্তি এলাকাগুলিতে এবার থেকে ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরিতে কোনও বাধা থাকবে না। বস্তিবাসী মানুষও ফ্ল্যাট বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করতে পারবেন।
মেয়রের এই দাবির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নন্দিতা রায়। তিনি বলেন, কলকাতা শহরে মোট ঠিকা সম্পত্তির পরিমাণ কত? নতুন আইনের ফলে মোট কত মানুষদের উপকৃত হবেন? ফ্ল্যাট তৈরির নামে বস্তিবাসী মানুষের উচ্ছেদ আটকাতে আইনে কী কী রক্ষাকবচ রয়েছে, সেই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বাজেটে কেন নেই?
এর পাশাপাশি গার্ডেনরিচ জলপ্রকল্প নিয়েও মেয়রের অপপ্রচারের বিরোধিতা করেন নন্দিতা রায়। মেয়রের বক্তৃতা অনুযায়ী, কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গার্ডেনরিচ জলপ্রকল্পের সুফল পৌঁছে দেওয়ার কৃতিত্ব কেবলমাত্র তৃণমূল পরিচালিত কর্পোরেশনের। তথ্য দিয়ে এই ভিত্তিহীন দাবি নাকচ করেন নন্দিতা রায়।
এর পাশাপাশি তিনি বলেন, কলকাতা শহরে প্রতিদিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ সমানতালে কর্পোরেশনে কর্মী সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে নাগরিক পরিষেবা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
Comments :0