মাত্র ৯৮ ভারতীয় বনাম ৫৫ কোটি। দেশের সরকারে আসীম বিজেপি ওই আটানব্বইয়ের পক্ষে। আজ হক চাইছে বাকি একশো ত্রিশ কোটি।
রামলীলা ময়দানে সভা খেকে এই মর্মে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চেতাবনি দিচ্ছেন শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
আটানব্বইয়ের হাতে যা সম্পদ তা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫৫ কোটিকে। ভয়াবহ বৈষম্যের ভারতেই প্রতিদিন বিভাদনের নতুন নতুন কৌশল খোঁজা হচ্ছে। গ্যাসের দাম হাজার পার করেছে। বেকারির হার স্বাধীন ভারতে সর্বোচ্চ। আর সেই সময়েই বিজেপি আরএসএস মেতেছে রামনবমীর অস্ত্র মিছিলে।
সিআইটিইউ, কৃষকসভা, খেতমজুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ রামলীলা ময়দানের মঞ্চ থেকে এভাবেই বুঝিয়েছেন শাসকের কৌশল।
কৃষকসভার সর্বভারতীয় সভাপতি অশোক ধাওয়ালে বলেন, ‘‘মোদী সরকার কর্পোরেটদের সুবিধা দিচ্ছে, আর সাধারণ মেহনতি মানুষের সর্বনাশ করছে। কাদের স্বার্থে এই সরকার কাজ করছে তা চলতি বছরের বাজটে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফসলের দাম পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার কিছু করছে না। তাই আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে লাল ঝান্ডা নিয়ে দিল্লিতে এসেছেন।’’ ধাওয়ালে এই মহা সমাবেশ থেকে প্রশ্ন তোলেন যে, ‘‘আদানিদের কর ছাড় দিলে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের কেন কর ছাড় দিচ্ছে না?’’
সিআইটিইউ সর্বভারতীয় সভাপতি কে হেমলতা মোদী সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘শ্রমিকদের, কৃষকদের সমস্যার কথা দাবি দাওবা নিয়ে বার বার কেন্দ্রের দারস্থ হয়েছি। কিন্তু ওরা কোন কথা শোনেনি। মোদী সরকার মেহনতী মানুষের কথা শুনতে চায় না। মেহনতী মানুষের উন্নতি হোক তা তারা চায় না। কেন্দ্রীয় সরকার চায় পুঁজিপতিদের উন্নতি। আর তাই তারা আদানি আমবানিদের স্বার্থে নীতি তৈরি করছে।’’ হেমলতা বলেন, ‘‘বিজেপি আরএসএস খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের ঐক্যকে ভয় পায়। তাই তারা মানুষের মানুষে ধর্মের নামে জাতের নামে ভেদাভেদ তৈরি করছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির ফলে জাত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ আজ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। তাই আমাদের আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কেন্দ্রীব সরকারের নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’’
Comments :0