কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে খেলোয়াড়দের ডিজিটাল রক্ষাকবচে মুড়ে ফেলতে চলেছে ফিফা। যেই রক্ষাকবচ এড়িয়ে খেলোয়াড় এবং তাঁদের ভক্তদের অবধি পৌঁছবে না কোনও জাতিবিদ্বেষী কিংবা বর্ণবিদ্বেষী কটূক্তি। ডিজিটাল ‘ট্রোল’—এর আক্রমণ থেকে ফুটবলারদের রক্ষা করতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে ফিফা।
ফিফা সূত্রে খবর, খেলোয়াড়দের জন্য মনিটরিং, রিপোর্টিং এবং মডারেশন ফেসিলিটি চালু করেছে ফিফা। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৮৩০’র বেশি খেলোয়াড় এর সুবিধা নিতে পারবেন।
কী এই ফেসিলিটি? ফিফা জানিয়েছে, ফেসবুক, ইউটিইউব এবং ইন্সটাগ্রামের সঙ্গে তাঁদের একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, এই প্রক্রিয়ায় নাম লেখানো নির্দিষ্ট ফুটবলারটির সামাজিক মাধ্যমের প্রোফাইল, চ্যানেল এবং পেজে নজরদারি চালাবেন ফেসবুক, ইউটিইউব এবং ইন্সটাগ্রামের ‘মডারেটার’রা। ধরা যাক, ওই তিনটি প্ল্যাটফর্মের একটিতে কোনও উগ্র ফুটবল ভক্ত কোনও ফুটবলারকে উদ্দেশ্য করে জাতিবিদ্বেষী কিংবা বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করল। তৎক্ষণাৎ সেই মন্তব্যটিকে ঢেকে দেবেন তিন সংস্থার মডারেটররা। তারফলে সেই খেলোয়াড় কিংবা তাঁর ভক্তদের কাছে কটূক্তিটি কোনওভাবেই পৌঁছবে না।
জুন মাসে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এবং আফ্রিকান নেশন্স কাপ চলাকালীন সমীক্ষা চালায় ফিফা। সমীক্ষায় উঠে আসে, ৫০ শতাংশ খেলোয়াড় অশালীন অনলাইন কটূক্তির শিকার হয়েছেন। কটূক্তিগুলির ৮০ শতাংশ বর্ণবিদ্বেষী এবং জাতিবিদ্বেষী। কটূক্তির হাত থেকে খেলোয়াড়দের পরিবার পরিজন সহ প্রিয় মানুষরাও বাদ যাননা। রেহাই পায়না তাঁদের শিশু সন্তানরাও। কখনও আবার তাঁদের ধর্মীয় পরিচিতিকেও কাঠগড়ায় তোলা হয়। সেই সমীক্ষাকে হাতিয়ার করেই বিশ্বকাপ চলাকালীন খেলোয়াড়দের ডিজিটাল সুরক্ষা দিতে তৎপর ফিফা। যদিও সেই রক্ষাকবচে একটি বড়সড় ফাঁক রয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি টুইটার বড় সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করেছে। তারফলে টুইটারের পক্ষে ডিজিটাল সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। ফিফার তরফেও টুইটারের নাম ঘোষণা করা হয়নি। ফলতঃ টুইটারের ‘ট্রোল’দের হাত থেকে খেলোয়াড়দের রেহাই পাওয়া আপাতত সম্ভব হচ্ছে না।
Comments :0