Bangladesh

পাকিস্তানের পোর্টালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী নিবন্ধ ঘিরে বিতর্ক

আন্তর্জাতিক

মীর আফরোজ জামান: ঢাকা  

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যের নিবন্ধে ‘পূর্ব পাকিস্তান’-কে ফিরিয়ে আনার আলোচনা। ১৯৭১’র স্বাধীনতার লড়াইকে ‘ভারতের ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে নিবন্ধে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক ঘিরে সক্রিয়তার আবহে এই নিবন্ধ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশ।
পাকিস্তানের একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদ পোর্টাল ‘দ্য ক্যাচলাইন’-র এই প্রবন্ধ  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘দেশদ্রোহী’ বলেছে। অধ্যাপক ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ হিসেবে দেখা হয়েছে। 
নিবন্ধে বলা হয়, ”১৯৭১ সালে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং তার চাণক্য-ধাঁচের উপদেষ্টারা মুক্তিবাহিনী নামে পরিচিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নির্লজ্জভাবে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট: পূর্ব পাকিস্তানকে মাতৃভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করা। ভারতীয় সামরিক হস্তক্ষেপ এবং প্রচারের মাধ্যমে তারা পাকিস্তানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ কেটে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল। এটি পাকিস্তান-বিদ্বেষী বাঙালি হিন্দু এবং তাদের মুসলিম সহযোগীদের হাতে তুলে দিয়েছিল।‘‘
নিবন্ধে বলা হয়েছে যে ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উপর ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ সুদৃঢ় করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন, যা কার্যকরভাবে দেশটিকে নয়াদিল্লির একটি উপগ্রহ রাষ্ট্রে পরিণত করে। যাইহোক, নাটকীয় ঘটনার মোড় নেয়, জামায়াতে ইসলামী এবং নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ব্যাপক মুসলিম-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনাকে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে, যেখানে তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়।’’
নিবন্ধে বলা হয়,”ভারতীয় আধিপত্যের কবল থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হওয়ার পর, অধ্যাপক ড. ইউনূস পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক পুনর্গঠন শুরু করেন।’’ 
এই নিবন্ধ ঘিরে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। 
নিবন্ধটি নিয়ে বিভিন্ন অংশের মত, পাকিস্তানের একাংশ এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধীদের দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অনুগামী করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে এসব প্রচার চলছে। ইউনুস সরকারের সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতাও আসছে আলোচনায়। ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে বারবার ১৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকে মুছে ফেলার প্রয়াসের অভিযোগও উঠেছে।

Comments :0

Login to leave a comment