JEE RESULT PROTEST

জয়েন্টের ফল কবে? জবাবে মিলল পুলিশের লাথি (দেখুন ভিডিও)

রাজ্য কলকাতা

গ্রেপ্তারের সময় এসএফআই কর্মীকে লাথি পুলিশের। ছবি ও ভিডিও প্রিতম ঘোষ

অরিজিৎ মণ্ডল

প্রায় চার মাস হতে চললো রাজ্য জয়েন্টের পরীক্ষা হয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত ফল প্রকাশ হয়নি। অন্য দিকে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বাড়িয়েছে প্রায় সাড়ে তিন মাস এখনও সরকার ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে উঠতে পারেনি। অবিলম্বে জয়েন্টের ফল প্রকাশ ও কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে ক্লাস চালু করার দাবি করেছে এসএফআই। 
মঙ্গলবার ফের বিকাশ ভবনে গিয়ে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের বলতে চেয়েছিল এসএফআই। কিন্তু কড়া পুলিশি প্রহরা। সল্টলেক করুণাময়ী-বিকাশ ভবন চত্বর যেন যুদ্ধ ক্ষেত্র। ওই চত্বরে প্রায় এক হাজার পুলিশ, র‌্যাফ। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার প্রস্তুতি। মিছিল আটকাতে খোদ রাস্তায় বিধাননগর কমিশনের সিপি। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি পুলিশের বাস প্রিজন ভ্যান এছাড়াও বেসরকারি পাবলিক বাস। 
এদিনই করুণাময়ীতে ২০২২-র ‘টেট’ উত্তীর্ণরা সমবেত হন চাকরির বিজ্ঞপ্তির দাবিতে। তাঁদেরও এমন ধরপাকড়ের মুখোমুখি হতে হয়। নির্বিচারে লাঠি চালায় পুলিশ। প্রায় ২শো জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বারবার ক্ষিপ্ত হয়ে টেট উত্তীর্ণদের তাড়া করতে দেখা যায় পুলিশকে।  
এদিন এসএফআই’র মিছিল যখন বিকাশ ভবনে আসছিল হঠাৎ করেই পুলিশ এসএফআই কর্মীদের মারধর শুরু করে। টানতে টানতে তোলে একেরপর এক বাস ও প্রিজন ভ্যানে। এসএফআই নেতৃবৃন্দ বারংবার বলতে থাকে আমরা কথা বলতে চাই আধিকারিকদের সঙ্গে। কোনও কথা না শুনে গ্রেপ্তার করা হতে থাকে একের পর এক প্রতিবাদীকে। মিছিল থেকে গ্রেপ্তারের পরও ক্ষান্ত থাকেনি পুলিশ। বেছে বেছে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে আসা হয় অনেককে। ধৃত নেতা কর্মীদের ছাড়াতে বিধান নগর নর্থ থানার দিকে যেতে থাকেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে সহ এসএফআই কর্মীরা। হঠাৎই তাঁদের রাস্তায় আটকে দেয় পুলিশ। বিনা প্ররোচনায় ফের গ্রেপ্তার করতে শুরু করে পুলিশ। টানতে টানতে গাড়িতে তোলা হয় ছাত্রীদের। ভ্যানে তোলার পরও এক এসএফআই কর্মীর বুকে লাথি মারতে দেখা যায় পুলিশকে, সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ।   সেই নির্মম চিত্র ধরা পড়ে ‘গণশক্তি’-র ক্যামেরায়। (দেখুন ভিডিও)
পুলিশের এই অগণতান্ত্রিক ভূমিকার বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের ছাত্র-যুবরা। এই স্লোগান উঠেছে রাস্তায়, ‘পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়, তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধর।’ এদিন সল্টলেক করুণাময়ীতে পুলিশের ভূমিকা ফের বোঝালো কেন দিতে হচ্ছে এমন স্লোগান। 

Comments :0

Login to leave a comment