Hooghly Flood

এখনও জলমগ্ন হুগলি খানাকুলের বিভিন্ন গ্রাম

রাজ্য জেলা

১০ দিন পরেও হাওড়ার সীমান্তবর্তী এলাকা হুগলির খানাকুল ১ নং ব্লকের অরুন্ডা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম ও কৃষি জমির মাঠ জুড়ে শুধু জল আর জলরাশি। অতিবৃষ্টি এবং ডিভিসি 'র ছাড়া জলে এখানে ডুবে রয়েছে বিস্তীর্ণ কৃষি জমির মাঠ। বর্ষার আমন ধান, পটল সহ বাদাম চাষ যা শীত মরসুমে বীজ হিসাবে ব্যবহারের জন্য এখানে চাষ তা সব নষ্ট হয়ে গেছে। ছত্রসাল থেকে ২৪ পুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যাবার প্রায় পাঁচ কিমি রাস্তা উপর ২ ফুটের মতো জল জমে রয়েছে। এই পথে বালিপুর, পুরশুড়া, চিলাডিঙ্গি ও তারকেশ্বরের সঙ্গে যোগাযোগ। জলমগ্ন ওই রাস্তায় ট্রেকার ও অটো চলাচল বন্ধ হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। হাঁটু জল ভেঙে স্হানীয় বাসিন্দারা কোন রকমে যাতায়াত করছেন। মানুষ চরম দুরাবস্হা মধ্যে দিনযাপন করছেন। 
আগেই এই পঞ্চায়েতের অরুন্ডা গ্রামের হরিণাখালি নদীর উপর প্রায় ৪০০ ফুট হানা পড়েছিল।  এখন ওই নদীর জল কমে গেছে। কিন্তু এখন বড় সমস্যা হলো রামপুর ক্যানেল দিয়ে ব্যাপক জল ঢুকছে। দামোদরের জল হাওড়া জেলা থেকে ১৪ টি স্যুইস গেট দিয়ে ঢুকে আরো সঙ্কট তৈরি করেছে। কিন্তু জল নিকাশি না হওয়ায় ফলে সর্বত্রই জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। ২৪ পুর বাজারের পশ্চিম দিকের নিকাশির খালের  উপর দোকান পাট ও বাড়ি নির্মাণের ফলে জল নিকাশি ব্যবস্থা থমকে গেছে। এর ফলে গ্রামীণ রাস্তায় কোথাও কোথাও প্রায় কোমর সমান জল জমে রয়েছে। গ্রামের মানুষ জলবন্দি হয়ে রয়েছেন। পঞ্চায়েতের ১৪টি মৌজার আংশিক কিছু জায়গা ছাড়া সিংহভাগ কৃষি জমির মাঠের ফসল জলের তলায়। ধান গাছ পচে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। 
বীরভূমের লাভপুরের বিস্তির্ন অংশ এখনও জলমগ্ন। বহু মানুষ বাড়ি ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রান শিবিরে। এমন পরিস্থিতির মুখে তাদের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছে যে তারা কেউ একটি সূঁচ পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারেন নি। মূলত: কূয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে তার তীরবর্তী ১৫-১৬টি গ্রামের অবস্থা দুর্বিসহ। এছাড়াও ইলামবাজার, রামপুরহাট, দুবরাজপুর প্রভৃতি এলাকারও বিভিন্ন গ্রাম অতিবর্ষণে বিধ্বস্ত হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment