Hawker movement

ভাতের ব্যবস্থা করুক সরকার, বলছেন হকাররা

রাজ্য কলকাতা

কলকাতা পৌরসভার সামনে হকারদের অবস্থান। ছবি প্রীতম ঘোষ।

‘‘লন্ডন, প্যারিস চাই না। আগে পেটে ভাতের ব্যবস্থা করুক সরকার।’’ হকার উচ্ছদের বিরুদ্ধে সিআইটিইউ সহ হকার যৌথ মঞ্চের কলকাতা পৌরসভা অভিযানে পা মিলিয়ে ছিলেন বিমল রায়। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই ভাবেই নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। প্রায় ৪২ বছর ধরে তিনি কলকাতার রাস্তায় হকারি করছেন। পৌরসভার লাইসেন্সও আছে তার। 

হাতিবাগান চত্বরে হকারি করা এই ব্যাক্তি বলেন, ‘‘এই হকারি করেই আমি সংসার চালিয়ে যাচ্ছি। ছেলে মেয়েকে মানুষ করেছি আর এখন বলছে আমাদের উঠে যেতে হবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘অনেক শুনেছি লন্ডন, প্যারিস করবে কলকাতাকে। ওই সব আমাদের দরকার নেই। আমরা বাঁচতে চাই। আমাদের পেটে ভাতের ব্যবস্থা করুক সরকার।’’

কলকাতা সহ রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় সৌন্দর্যায়নের জন্য হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বুল্ডোজার নামিয়ে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে দোকান। রাম সিং আর একজন হকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনিও সামলি হন মিছিলে। হাঁটতে হাঁটতে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিন আমাদের চিন্তা করতে হয় কি ভাবে সংসার চালাবো। বাড়ির লোকেদের মুখে কি খাবার তুলে দেবো। আমাদের কোন ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা নেই, কোন জমানো টাকা নেই।’’ তিনি অভিযোগ করেন প্রতিদিন তৃণমূল পরিচালিত হকার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে টাকা নেওয়া হয় হকারদের থেকে। 

এরই মধ্যে মমতা ব্যানার্জি হকারদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার জন্য বাঙালি, অবাঙালি তত্ত্ব সামনে এনেছেন। তিনি বলেছেন, যাদের উত্তর প্রদেশ, বিহারের ভোটার কার্ড আছে তারা এই রাজ্যে হকারি করতে পারবে না। সেই প্রসঙ্গে রাম সিং বলেন, ‘‘এখন মমতা ব্যানার্জি আমাদের মধ্যে ভাগ তৈরি করতে চাইছে। বাঙালি, অবাঙালিতে ভাগ করছেন। আমাদের একটাই পরিচয় আমরা ভারতীয়। কোন ভাবে আমাদের উচ্ছেদ করা যাবে না।’’

রাজ্য হকার আন্দোলনের নেতা অশিতাঙ্গ গাঙ্গুলী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই বিভাজনের বিরোধীতা করছি আমরা। আমাদের দাবি পুনর্বাসন ছাড়া একজন হকারকেও উচ্ছেদ করা যাবে না। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হকার আইন ২০১৪ লাগু করতে হবে রাজ্যে।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment