রাজস্থানে আটকে রাখার পর ঠেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশে। মালদহের কালিয়াচক থানার জালালপুর গ্রামের আমির শেখ যন্ত্রণা জানিয়ে ভিডিও পোস্ট করেছিলেন সোশাল মিডিয়ায়। আমিরের পরিবারকেও বিন্দুমাত্র জানানো হয়নি তাঁর সম্পর্কে।
বিজেপি শাসিত একের পর এক রাজ্যে এভাবেই ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে পরিযায়ী বাংলাভাষী শ্রমিকদের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশেই চলছে এই প্রক্রিয়া। একাংশকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে।
দিল্লি লাগোয়া হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে এভাবেই আটক করে রাখা হয়েছে পরিযায়ীদের। বাংলা বললেই বাংলাদেশি বলে ধরছে পুলিশ। বেশ কয়েকমাস ধরে এই প্রক্রিয়া চললেও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বামপন্থীরাই রাস্তায় নেমে সোচ্চারে দাবি তুলেছেন সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি কেন পাঠানো হচ্ছে না নবান্ন থেকে।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৪০০ পরিযায়ীর নথি পরীক্ষার জন্য এই রাজ্যগুলি অনুরোধ জানায় পুলিশকে। দেখা গিয়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আটক করা হয়েছে বৈধ নাগরিকদের।
আমির শেখের কাকা আজমল শেখ সংবাদমাদ্যমে বলেছেন যে সব নথিই ১৯ বছরের এই যুবকের কাছে ছিল। আধার কার্ড, এমনকি জন্মের শংসাপত্রও ছিল। কিন্তু রাজস্থান পুলিশ তাতে আমল দেয়নি। দু’মাস আটকে রাখে ডিটেনশন ক্যাম্পে। সোশাল মিডিয়ায় আমিরের ভিডিও দেখে পরিবার জেনেছে যে তাঁকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনা হলো, বাংলাদেশি সন্দেহে আটক থাকার পরও ফের শ্রমিকদের একাংশকে কাজের খোঁজে ফিরতে হচ্ছে একই জায়গায়।
যেমন, মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার মেহবুব শেখকে মুম্বাই পুলিশ আটক করেছিল। তাঁকেও ঠেলে পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশে। তীব্র প্রতিবাদ হওয়ায় রাজ্য পুলিশ প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ করে ফিরিয়ে আনে তারদের। কিন্তু মেহবুব ফের ফিরতে চাইছেন মুম্বাইয়ে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে মেহবুব বলেছেন, বাংলায় কাজ নেই। যা কাজ আছে তার মজুরিও সামান্য। বাইরে প্রায় দ্বিগুন মজুরি। আমার সন্তানদের জন্যই রোজগার করতে ফের মুম্বাই যেতে হবে।
কেবল গুরগাঁওয়েই ৪০০-র বেশি বাংলাভাষী পপরিযায়ী শ্রমিককে আটক করেছে হরিয়ানা পুলিশ। এঁদের অনেকেই জঞ্জাল কুড়ানোর কাজ করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বাংলায় কথা বলেন কেবল এই কারণেই সন্দেহ করা হয়েছে। কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। আধার, রেশনের মতো নথি দাখিল করেও রেহাই মেলেনি। আটক করা হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্পে।
Maldaha Migrant
মালদহের শ্রমিককে ‘পুশব্যাক’ বাংলাদেশে, ভিডিও দেখে জানল পরিবার!

×
Comments :0