রিষড়ায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারও। এলাকায় চলছে বাহিনীর রুটমার্চ। সেই সঙ্গে নাকা চেকিং চলছে। রবিবার রাতে রামনবমীর মিছিলের নামে এখানেও উত্তেজনা ছড়ানো হয়েছে। মিছিলে ছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
সোমবার সকালে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকে পরিস্থিতি। পুলিশ মাইক প্রচার করেছে এলাকায়। মানুষকে অযথা বাড়ির বাইরে বের হতে বারণ করা হচ্ছে।
রবিবার সন্ধ্যায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলীর রিষড়া। রামনবমীর শোভাযাত্রার নামে অশান্তি বাঁধানো হয়। তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিজেপি নেতা এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষ। দু্ষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায়, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় গরিব, মেহনতী মানুষের জিনিসপত্রে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। অশান্তি হয়েছে রিষড়ার মৈত্রী পথ সন্ধ্যা বাজারে।
মিছিল থেকে ইট ছোঁড়া হয়। জানা গিয়েছে, একাধিক পুলিশকর্মী আহত। রাস্তার পাশে থাকা বেশ কিছু গাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চন্দননগর কমিশনারের বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে হাজির হয়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
রবিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) শ্যাম সিং, চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কিছু জায়গায় রুট মার্চ করে পুলিশ, বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। আর এই ঘটনার পরেই রবিবার রাত দশটা থেকে সোমবার রাত দশটা পর্যন্ত রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। মাহেশ মন্দির সংলগ্ন জি টি রোডে ব্যারিকেড করে ঘিরে দেয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
সোমবার সকালে রিষড়া থানার পক্ষ থেকে চলছে মাইকিং করে প্রচার করা। রিষড়াবাসীকে অকারণে বাড়ির বাইরে না আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এদিন সকালে হঠাৎ পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শ্রীরামপুর থেকে মাহেশ হয়ে রিষড়া যাওয়ার পথে জিটি রোডে নাকা চেকিং করছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। প্রতিটি গাড়ি বাইক নাকা চেকিং করে তবেই রিষড়ার দিকে পাঠানো হচ্ছে। ব্যাগ, গাড়ির ডিকি সহ সব কিছুই চেক করা হচ্ছে।
তবে মিছিলের অনুমতি কেন দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। হাওড়ার শিবপুরে গত ৩০ মার্চ রামনবমীর মিছিলকে সামনে রেখে অশান্তি বাঁধানো হয়। গরিব মানুষই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। এরপরও জায়গায় জায়গায় আরএসএস-বিজেপি রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করছে। সেখানে অস্ত্র দেখানো হচ্ছে। রবিবারই কামারহাটির টেক্সম্যাকো অঞ্চলে এরকম একটি মিছিলে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের কাউন্সিলরকে। বিজেপি এবং তৃণমূল, দুই দলকেই ধিক্কার জানিয়েছে বামপন্থীরা।
Comments :0