সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটা। তার মধ্যে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের পদ ছেড়ে দিতে হবে ডাঃ মানস চক্রবর্তীকে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে এই মর্মে।
মেডিক্যাল কাউন্সিলের দুর্নীতির প্রতিবাদেই বারবার রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে চিকিৎসকদের। সচিব পদে মানস চক্রবর্তীর আসীন থাকা অবৈধ, বারবারই বলেছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস।
এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ বলেছে, মহান পেশার সঙ্গে যুক্ত কেউ কিভাবে অবৈধ উপায়ে পদে আসীন থাকতে পারেন! রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া ওই পদে থাকা যায় না। রাজ্য সরকার অনুমোদন দেয়নি।
তবে রাজ্য সরকারের নীতি অনুযায়ী মেডিক্যাল কাউন্সিলের হয়ে এই মানস চক্রবর্তীই একের পর এক প্রতিবাদী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়োর করছিলেন। বেনজির কায়দায় মেডিক্যাল কাউন্সিলের অভিযোগের জেরে তল্লাশি হয় আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদী চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে। সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে ডাঃ উৎপল ব্যানার্জি, ডাঃ মানস গুমটা এবং ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামীর নামে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে জাল স্যালাইন কান্ডেও এফআইআর দায়ের হয়েছে চিকিৎসকদেরই বিরুদ্ধে। যার জেরে চিকিৎসকরা বুধবারও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে।
২০১৯’র ১ নভেম্বর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের পদে নিয়োগ করা হয় মানস চক্রবর্তীকে। তারপর বারবার তাঁকেই নিয়োগ করা হয়। মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় নিয়োগ করেন তাঁকে। মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভূমিকায় বারবারই প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন। এদিন হাইকোর্টও বলেছে যে অবসরের বয়স পেরনোর পর পদে থাকা যায় না। ২০ নভেম্বর স্বাস্থ্যভবন সরার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে পদ ছাড়েননি এই চিকিৎসক।
High Court Medical Council
মেডিক্যাল কাউন্সিলের ‘অবৈধ’ রেজিস্ট্রারকে কালকেই পদ ছাড়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
×
Comments :0