প্রতীম দে
জাল স্যালাইনে সরবরাহে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ওষুধের গুণমান নিয়ন্ত্রক ড্রাগ কন্ট্রোল দপ্তরের সামনে এই দাবিতে বিক্ষোভ চালাচ্ছে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি এবং পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতি। 
কলকাতার নিজাম প্যালেসে ড্রাগ কন্ট্রোল দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বক্তব্য বিশদে জানাতে গিয়েছে প্রতিনিধিদল। রয়েছেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, পিপলস রিলিফ কমিটির সম্পাদক ডাঃ ফুয়াদ হালিম, এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রণয় কার্য্যী, বস্তি উন্নয়ন সমিতির নেতা সুখরঞ্জন দে, মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ। 
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে জকাল স্যালাইনে প্রসূতি মৃত্যু এবং একাধিক অসুস্থতা ঘিরে তীব্র ক্ষোভ স্বাস্থ্য-দুর্নীতিতে। রাজ্য সরকার নির্মাতা সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উলটে সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকদের দায়ী করে পুলিশি জেরা চলছে।
ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত নিজাম প্যালেসের বাইরে বিক্ষোভ সভায় বলেছেন, এই স্যালাইন কাণ্ডে জুনিয়র সিনিয়রদের নাম এসেছে। আমরা বলছি চিকিৎসকরা নয়। এদের মাথার ওপর অন্য কেউ আছে। মাতব্বরদের বাঁচাতে জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। 
রাজ্যের আগের বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনায় দেখা গিয়েছে সরকার দোষীদের আড়াল করেছে। তিনি বলেছেন আর জি কর কাণ্ডও স্বাস্থ্য দুর্নীতি এবং অপরাধ চক্রের পরিণতি।
তিনি বলেন, অতীতে এই স্যালাইনের সংস্থার বিরুদ্ধে রিপোর্ট পড়েছে। এই সরকারের মাথায় বিজেপি না থাকলে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতারা জামিন পায় না। 
সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করলে তৃণমূল বিজেপি বাঁচতে পারবে না।
মহিলা সমিতির রাজ্য সভাপতি জাহানারা খানও বক্তব্য রেখেছেন। সভা চলছে।