পার্থপ্রতিম বিশ্বাস
বিনা মেঘে বজ্রপাত নয় বরং আইন ভাঙার মেঘ জমে ছিল আকাশ জুড়েই। ফলে সেই জমে থাকা অবৈধ নির্মাণের মেঘে বজ্রপাতের আশঙ্কা বাস্তবায়িত হয়েছে শহর জুড়েই। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে হেলে পড়ছে একের পর এক কংক্রিটের বহুতল। বয়সের নিরিখে এরা কেউ শতাব্দী প্রাচীন নয় বরং যৌবনে উপনীত এমন প্রযুক্তি-নির্ভর কাঠামোগুলো সোজা দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে একে অন্যের গায়ে ঢলে পড়ছে নির্মাণের ত্রুটির কারণেই। এর মাঝেই দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীনের এক ঝাঁ চকচকে বহুতল আবার হেলতে হেলতে তাসের ঘরের মতোই দিনে দুপুরে ভেঙে পড়েছে। ফলে এমন হেলা বাড়ির আতঙ্ক হানা দিয়েছে শহর– শহরতলি জুড়ে আম জনতার মনে। কারণ শহরে এমন হেলে পড়া বাড়ির সিংহভাগ আবার দেখা যাচ্ছে বেআইনি নির্মাণ। এমন প্রেক্ষিতে শহর জুড়ে বেড়ে চলা বেলাগাম বেআইনি নির্মাণ আবার চর্চায় এসেছে আবাল-বৃদ্ধ–বনিতার।
প্রশ্নের মুখে আবাসের সুরক্ষা
গত দু’দশক ধরেই গোটা দেশে নগরায়নের গতি বেড়েছে দ্রুত লয়ে। গ্রাম প্রধান দেশের জিডিপি’র দুই তৃতীয়াংশ এখন আসছে দেশের শহর অঞ্চল থেকেই। ফলে মানুষের উন্নত আয়ের সার্চ ইঞ্জিন হয়ে উঠেছে শহর। কিন্তু কেবল উন্নত আয় নয় তার সাথে উন্নত শিক্ষা,স্বাস্থ্য, আবাসন, পরিবহণ, ব্যবসা, বাণিজ্য এবং আনুষঙ্গিক পরিষেবার টানেই ভিড় বাড়ছে শহরে। ফলে এমন শহরে উচ্চ থেকে নিম্নবিত্ত মানুষের বাসস্থানের জোগানের জন্য শহরের পরিধি বেড়ে চলেছে, বাড়ছে শহর উচ্চতায়। এই প্রেক্ষিতে কলকাতার মতো পুরানো অপরিকল্পিত, অগোছালো শহরে এখনও পরিকল্পিত নির্মাণের রূপরেখা তৈরি না হলে শহরের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য ব্যাহত হবে ভয়াবহ ভাবে। ধ্বংস হবে শহরের পরিবেশ, বিপন্ন হবে মানুষের আবাসের স্থায়িত্ব, হারিয়ে যাবে তাঁর শহরের ঠিকানা। ফলে সামগ্রিকভাবে বিপন্ন হবে শহরের নাগরিক নিরাপত্তা। তাই বেআইনি নির্মাণ রুখতে পারা না পারার প্রশ্নটা কেবল আইন শৃঙ্খলার নয় বরং তার সাথে জড়িয়ে শহরের নাগরিক জীবনের এক বৃহত্তর প্রেক্ষিত।
ভেঙে পড়া আইন
কেবল কলকাতা নয়, দেশের প্রতিটি বড় শহরের পৌরসভাগুলির নিজস্ব নির্মাণ বিধি রয়েছে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে। ফলে দেশ কিংবা রাজ্যজুড়ে বেআইনি নির্মাণ বেড়ে চলেছে উপযুক্ত আইনের অভাবে নয় বরং সেই আইন কঠোরভাবে বলবৎ না করার কারণেই। এদেশের সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী পৌর সংস্থাগুলি রাজ্য কিংবা কেন্দ্রের সরকারের মতোই তৃতীয় স্তরের স্থানীয় সরকার। ফলে সেগুলি আইনের মানদণ্ডে এক সম্পূর্ণ স্বাধীন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। সেসব সংস্থা পরিচালিত হয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা । ফলে শহরের নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় ক্ষমতা রয়েছে পৌর প্রশাসনের হাতে। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার বহু আগে থেকেই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতায় কলকাতা শহরে তৃণমূল দল পৌরসভা পরিচালনা করছে। এই প্রেক্ষিতে নগরায়নের বাড় বাড়ন্তের ভরা বাজারে বেআইনি নির্মাণের সিংহভাগ তাঁদের আমলে ঘটলেও এখন সেই দায় বাম আমলের গায়ে চাপানোর তরজায় নেমেছেন পৌরসভার মেয়র স্বয়ং। যেহেতু শহরে অবৈধ নির্মাণগুলি নিত্যদিন হেলে পড়ছে সেই নিরিখে কেন পৌরসভা গত পঁচিশ বছরে তৈরি হওয়া বেআইনি এবং আইনি বাড়ির তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করছে না ? এই তথ্য যেমন আমল ভিত্তিক আইনভঙ্গের নজির তুলে ধরবে তেমনই সেই অবৈধ আবাসনগুলি থেকে বকেয়া সরকারি শুল্ক আদায় শুরু করতে পারবে । শহরের মেয়র সম্প্রতি নাগরিকদের ফ্ল্যাট কেনার সময় বৈধ নির্মাতাদের থেকে কিনতে আরজি জানিয়েছেন । কিন্তু Real Estate Regulatory Actমেনে শহরে মোট নির্মাণের কত পরিমাণ হয়েছে তার হদিশ দিতে ব্যর্থ পৌরসভা। এমনকি সেই নিয়ন্ত্রক আইন ‘ রেরা’ কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে প্রকাশ্যে দিবালোকে অবৈধ নির্মাণ অথচ পুলিশ থেকে পৌর প্রশাসন মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছে। আর শহরের মেয়র থেকে শুরু করে শাসকদলের নেতারা এমন অবৈধ নির্মাণের ক্রেতা, সাধারণ মানুষের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন!
হেলে পড়া প্রশাসন
বেআইনি যে কোনও শিল্প–পরিষেবা আটকানোর প্রাথমিক দায় রাজ্যের কিংবা দেশের প্রশাসনের অথচ বেআইনি নির্মাণের শিল্প রুখতে ব্যর্থ সরকার এবং পৌরসভা। পৌর প্রতিনিধিদের প্রাথমিক দায় নাগরিক সুরক্ষায় পুর প্রশাসনে প্রহরীর ভুমিকা পালন করা। কিন্তু শহর জুড়ে চলা এমন বেলাগাম অবৈধ নির্মাণ প্রমাণ করছে বিরোধীমুক্ত পৌরসভায় তাঁদেরই অঙ্গুলি হেলনে চলছে পাড়ায় পাড়ায় এই আইন ভাঙার কারবার। শহরের মেয়র সাহেব বর্তমানের হেলা বাড়ির বিপদ ব্যাখ্যায় বলেছেন যে হেলে পড়া বাড়ি মানেই বিপজ্জনক নয় কারণ তিনি তাঁর বাল্যকাল থেকেই শহরে কিছু হেলে পড়া বাড়ি দেখে এসেছেন । কিন্তু মেয়র সাহেব সম্ভবত ভুল করছেন বেআইনি এবং আইনি উপায়ে প্রস্তুত হেলে পড়া বাড়ির বিপদের মাত্রাকে। অবৈধ নির্মাণে বাড়ির ভিতের ধরন থেকে শুরু করে বাড়ির ভারবাহী কাঠামোয় কংক্রিটের মান , ইস্পাতের পরিমাণ, দুটি পাশাপাশি বাড়ির ভিতের মাঝের ব্যবধান এমন প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপস করা হয় বাড়তি লাভের লক্ষ্যে। ফলে কলকাতার মতো নরম মাটির শহরে, বেআইনি নির্মাণে বাড়ির হেলে পড়া আসলে বাড়ির ভেঙে পড়ার পূর্বাভাস । এমন পূর্বাভাস উপেক্ষা করার অর্থ বাড়িগুলির সার্বিক বিপর্যয় ডেকে আনা। ফলে শহরের পৌর প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে এমন হেলা কিংবা দুর্বল কাঠামোর বাড়িগুলিকে চিহ্নিত করা এবং সেই অনুযায়ী প্রযুক্তি নির্ভর উপায়ে সেগুলির কাঙ্ক্ষিত মেরামতি। মনে রাখতে হবে যে , হেলা বাড়ির বিপদকে লঘু করে দেখার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অবৈধ নির্মাণের বিপদ।
লোভ–লাভে আপসে
দেশ কিংবা রাজ্যের সরকার অথবা স্থানীয় স্তরে পৌরসভার মতো নির্বাচিত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রাথমিক লক্ষ্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু পরিবর্তে শাসকের আইন প্রতিষ্ঠিত হলে সেই প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা যে ক্ষুণ্ণ হয় সেটা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে অবৈধ নির্মাণের দাপটে। ফলে নির্মাণের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট আইন থাকা সত্ত্বেও সেগুলির প্রয়োগ না হলে সঙ্গতকারণেই কাঠগড়ায় উঠবে পৌরসভা এবং প্রশাসন। মনে রাখা উচিত যে, জল ছাড়া জীবন্ত মাছের অস্তিত্ব যেমন বিপন্ন তেমনি প্রয়োগ ব্যাতিরেকে আইনের অস্তিত্ব বিপন্ন। এই প্রেক্ষিতে পরিষেবা কেন্দ্রিক অর্থনীতিতে সরকার রিয়েল এস্টেট প্রোমোটার এবং ডেভেলপারদের বেআইনি নির্মাণে আপস করলে নাগরিকদের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি বিপন্ন হয়। একথা অনেকেরই জানা যে কলকাতা শহর গড়ে উঠেছে নদীবাহিত পলিমাটির ওপরে, যে মাটির ভার বহন ক্ষমতা তুলনায় কম। ফলে সে কারণেই এমন নরম মাটিতে এই শহরে প্রাচীনকাল থেকেই খুব উঁচু বাড়ি কখনও তৈরি হয়নি। পুরানো দিনের মোটা দেওয়ালের ভিত কিংবা আধুনিক কালের কংক্রিটের অগভীর ভিত উভয়ক্ষেত্রেই কলকাতায় অল্প উচ্চতার বাড়ির পাল্লা ভারী। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে টাউন হল, কিংবা রাইটার্স বিল্ডিং থেকে ঠাকুরবাড়ি এর কোনোটাই বহুতল বাড়ির পর্যায়ভুক্ত নয়। ফলে এখন এমন নরম মাটির অপরে বহুতল নির্মাণের সময়ে বাড়ির ভারবাহী বিম–কলামের ভার যদি মাটির ধারণ ক্ষমতাকে ছাপিয়ে যায় তখন বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে ওঠে। বাড়ি কলকাতাতেই হোক কিংবা ক্যালিফোর্নিয়াতে, সেটা নির্ভর করে সেই অঞ্চলের মাটির ধারণ ক্ষমতা কিংবা নির্মাণ পদ্ধতির ওপরে। অথচ কলকাতার মতো নরম মাটির শহরে বাসস্থানের জোগান দিতে উচু উঁচু বহুতল তৈরি হচ্ছে উপযুক্ত সতর্কতা এবং পরিকল্পনা ব্যতিরেকেই।
অবৈধ নির্মাণে জমির চরিত্র বদল
অবৈধ নির্মাণের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে জমির চরিত্র বদলে অবৈধ জমিতে নির্মাণ । বলাই বাহুল্য শহরে বাসের জমি, জলাজমি, শিল্পের জমি, ব্যবসার জমি, রাস্তার জমি এভাবেই চিহ্নিত হয় সরকারি নথিতে। কিন্তু হাল আমলে শহরের জলাভুমি ভরাট করে অবৈধ নির্মাণ কার্যত এক সংক্রামক ব্যাধির চেহারা নিয়েছে। একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখে জেলায় জেলায় জল সঞ্চয়ের লক্ষ্যে ‘ জল ধরে জল ভরার ‘ ডাক দিচ্ছেন আর তাঁরই দলের প্রশ্রয়ে শহর-শহরতলি জুড়ে জমির দালাল জমি হাঙরেরা ‘ পুকুর ধরো পুকুর ভরো ‘ প্রকল্প বাস্তবায়িত করে চলেছে প্রশাসনকে পকেটে পুরে। সম্প্রতি কলকাতার এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য সরকারের তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে কলকাতা শহরের পুকুর সমীক্ষার রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে যে ২০০৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গার্ডেনরিচ মেটিয়াবুরুজ বিপর্যয় সংলগ্ন এলাকার পাঁচটি ওয়ার্ডে ২৭০ টি পুকুর ভরাট করা হয়েছে । একই গতিতে শহরের কিডনি অর্থাৎ জলাভুমি ভরাট হতে থাকায় কলকাতার বাস্তুতন্ত্র অদুর ভবিষ্যতেই পড়তে চলেছে ভয়াবহ সঙ্কটে। এক্ষেত্রেও জলাভুমি পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে রাজ্যে কড়া আইনি ব্যবস্থার কথা থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় চলেছে জমির চরিত্র বদল। গত কুড়ি বছরে কলকাতা শহর এবং শহরতলি এলাকায় নির্মাণ ক্ষেত্রের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ । পাশাপাশি গত দশ বছরে শহরের সবুজ অংশের পরিমাণ কমেছে ৩০%। সবুজ ধ্বংস করে কিংবা জলা জমি বুজিয়ে এখন নির্মাণের উচ্চতাও বেড়েছে তর তর করে। দেশের বড় বড় শহরগুলোতে যখন সবুজায়নের পরিমাণ বেড়েছে তখন বিপজ্জনকভাবে সবুজায়নের পরিমাণ আহমেদাবাদে কমেছে ৪৮% আর এ রাজ্য সেই তালিকায় দ্বিতীয়।
কাঁপলে শহর ভাঙবে
গত বছর তুরস্কের ভুমিকম্পে পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল কংক্রিটের বাড়ি ভেঙে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে । এমন ভেঙে পড়া বাড়ির সিংহভাগ ছিল বেআইনি ভাবে নির্মিত বাড়ি। সাম্প্রতিককালে কলকাতা শহরের বিভিন্ন অঞ্চলগুলি ভূমিকম্পের নিরিখে যথেষ্ট ঝুঁকিপ্রবন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে । Microzonationএর ভিত্তিতে শহরের নিউটাউন, রাজারহাট, মহিষবাথান থেকে শুরু করে কসবা, যাদবপুর, বেহালা , পার্ক স্ট্রিট, শোভাবাজারের মতো অঞ্চল রয়েছে সেই তালিকায়। অথচ দুশ্চিন্তার বিষয় যে এমন অঞ্চল জুড়েই গত দু’দশকে নগরায়নের হার কিংবা বহুতল নির্মাণের হার হয়েছে সর্বাধিক। বেড়ে চলা শহরে আইন ভেঙে বেড়েছে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির সংখ্যা। কিন্তু এমন একাধিক বাড়িগুলির ভারবাহী ভিত গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকলে একটা বাড়ির ভার অন্য বাড়ির ভিতের ঘাড়ে চেপে বসতে পারে। খানিকটা উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপার মতো । অথচ লক্ষণীয় যে ভূমিকম্পের সময় বাড়ির ভিতের নিচে থাকা স্বাভাবিক কলকাতার নরম মাটির ভারবহন ক্ষমতা আরও কমে যায়। ফলে এমন ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির হেলে কিংবা ভেঙে পড়া তখন হয়ে ওঠে সময়ের অপেক্ষা মাত্র । ফলে এই অবৈধ নির্মাণগুলি ভুমিকম্পের সময় জীবন্ত মানুষের বদ্ধভূমি হয়ে ওঠে। ফলে শহরজুড়ে বহুমাত্রিক বিপর্যয় মোকাবিলার স্বার্থেই এমন বহুতল আবাসন নির্মাণে রাশ টানা আশু প্রয়োজন। শহরের কলোনি এলাকায় নির্মাণের ক্ষেত্রে পৌর আইনের কিছু ছাড় থাকলেও বাড়ির কাঠামোগত স্থায়িত্ব কিংবা মাটির ধারণ ক্ষমতা যাচাই বিনা সেখানেও বহুতল নির্মাণে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। মনে রাখতে হবে যে পৌর করা দেওয়া শহরের নাগরিক সমাজের নিরাপদ বাসস্থানের গ্যারান্টি নিশ্চিত করার অন্যতম দায় শহরের পৌর-প্রশাসনেরই।
Comments :0