হাওড়া পৌরসভায় কেন ভোট হচ্ছে না? রাজ্যের কাছে উত্তর জানতে চাইলো হাইকোর্ট। হাওড়া পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন আদালত রাজ্যকে জানায় আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে তাদের জানাতে হবে কেন দশ বছরের বেশি সময় ওই পৌরসভায় কোন নির্বাচন হচ্ছে না। উল্লেখ্য ২০১৩ সালের পর থেকে হাওড়া পৌরসভা তৃণমূলের দখলে। ২০১৬ সালে হাওড়া এবং বালি পৌরসভাকে সংযুক্ত করা হয়। তারপর ফের ২০২১ সালে তা আলাদা করে দেওয়া হয়। শুধু হাওড়া নয় বালি পৌরসভার নির্বাচনও আটকে আছে এই জটের জন্য।
সিপিআই(এম) তথা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে একাধিক বার দাবি তোলা হয়েছে হাওড়া ও বালি পৌরসভার নির্বাচন করার। কিন্তু সরকার তাতে কোন গুরুত্ব দেয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে শাসক দলের নেতাদের নিয়ে তৈরি করা হয় একটি প্রশাসনমণ্ডলী। তাদের ওপর ছাড়া হয় পৌরসভা পরিচালনার কাজ।
সঠিক সময় নির্বাচন না হওয়ায় হাওড়া এবং বালির বাসিন্দারা পৌর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নিকাশির সমস্যা, পানীয় জলের সমস্যা নিত্য দিনের। জমে থাকে জঞ্জাল। তাদের অভিযোগ কাউন্সিলর না থাকায় শাসক দলের দ্বারস্থ হতে হয় তাদের। কাউন্সিলরের কাছ থেকে কোন সংশাপত্র পেতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।
২০২২ সালে রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভায় যখন নির্বাচন হয় তখন দাবি তোলা হয়েছিল হাওড়া পৌরসভার নির্বাচন করার। কিন্তু হয়নি। করোনা অতিমারির সময় কলকাতা সহ একাধিক পৌরসভায় প্রশাসকমণ্ডলী বাসনো হয়েছিল বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায়। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় হাওড়া পৌরসভা বাদ দিয়ে রাজ্যের সব পৌরসভায় হয় নির্বাচন। গায়ের জোড়ে বুথ দখল করে সব পৌরসভার দখল নেয় তৃণমূল। একমাত্র তাহেরপুর পৌরসভা তারা দখলে নিতে পারেনি।
Comments :0