আদালতের কাছে কামরা জানান যে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে নিয়ে কৌতুক করার পর তিনি প্রাণনাশের হুমকি পান। মুম্বাই পুলিশ তাকে তলব করলেও সে মুম্বাইয়ে গিয়ে হাজিরা দিতে পারেননি আতঙ্কের কারণে। এদিন কামরার আইনজীবী বলেন গদ্দার শব্দ নিয়ে যাবতীয় আপত্তি। কিন্তু মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের সময় একনাথকে বিরোধীরা একাধিকবার গদ্দার বা বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ করেছেন। এমনকি এনসিপিতে থাকার সময় বর্তমান উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারও এই কথা বলে শিন্ডেকে আক্রমণ করেছেন। রাজনৈতিক নেতারা এই কথা বললে কোন দোষ হচ্ছে না, কামরা বলায় কেন তাকে পুলিশি হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে।
পাল্টা সরকার পক্ষের যুক্তি, কামরার এই মন্তব্যের ফলে একজন ব্যাক্তির সম্মানহানি হয়েছে। বিরোধীরা নির্বাচনের সময় সরকারকে নিশানা করেছিল।
শিবসেনা বিধায়ক মুরজি প্যাটেলের অভিযোগের ভিত্তিতে কামরার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এফআইআরে ভারত ন্যায় সংহিতার ধারা ৩৫৩(১)(খ), ৩৫৩(২) (জনসাধারণের জন্য দুষ্টুমি) এবং ৩৫৬(২) (মানহানি) উল্লেখ করা হয়েছে।
কামরার ওই শোয়ের পর শিবসেনা কর্মীরা খারের হ্যাবিট্যাট ক্লাবে তাণ্ডব চালিয়েছিল। স্টুডিও ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ রাহুল কানাল সহ ১২ জন শিবসেনা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছিল। আটকের কয়েক ঘন্টা পরেই তাদের জামিন দেওয়া হয়েছিল।
Comments :0