রাজ্যে রাজনৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের যেখানে যেখানে রাজনৈতিক সংগ্রাম হচ্ছে, স্থানীয় স্তরে নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে জোর করে মোটরবাইকে চড়ার মতো করে নিজেদের মাথা গলিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। এই মুহূর্তে নিজস্ব রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে লড়াই করার সামর্থ নেই বিজেপির। তাইজন্য হয় তাঁদের ধর্মীয় মিছিল করে মেরুকরণের চেষ্টা করতে হচ্ছে, নইলে বামপন্থী সহ অন্যান্য দলগুলির সাফল্যে ভাগ বসাতে আসতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করলেন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এদিন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে জেলা সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, যাঁরা ‘মাথা বাঁচাতে’ তৃণমূলে গিয়েছিল, এখন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের ফলে তাঁদের মাথা সব থেকে বেশি ফাটানো হচ্ছে। রাজ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কেনাবেচার নতুন ধারা তৈরি করেছে তৃণমূল। এখন সেই ‘সিস্টেম’-এর জন্য বেকায়দায় তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে তিনি ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক করিম চৌধুরীর দলবিরোধী কথাবার্তাকে হাতিয়ার করেন।
একই সঙ্গে সেলিম বলেন, বিধায়ক কেনাবেচায় কোটি কোটি টাকা ব্যবহার হয়েছে। মমতা, শুভেন্দু, মুকুল রায় মিলে এই কাজ করেছে। শুভেন্দু অধিকারী নিজে স্বীকার করেছেন, মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে তৃণমূলে থাকাকালীন মুর্শিদাবাদের এক বাম বিধায়ককে ‘কিনতে’ ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন তিনি। সেলিম সেই টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে।
সেলিম আরও বলেন, উত্তর ভারতে হনুমানকে ‘সঙ্কট মোচন’ বলা হয়। পশ্চিম বাংলায় সেই হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে সঙ্কট তৈরি করছে বিজেপি। এটাই সংঘ পরিবারের রাজনীতি। এরসঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই।
সেলিম এদিন স্পষ্ট ভাবে বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় ভাঙণের কবলে পড়বে তৃণমূল। একইসঙ্গে তিনি তৃণমূলের নেতাদের ‘রাজনৈতিক আবর্জনা’র সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এই আবর্জনাদের কোনও ভাবেই সিপিআই(এম)-এ ঢুকতে দেওয়া হবে না।
Comments :0