Samserganj Violence

সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় চোপড়া থেকে গ্রেপ্তার মূল চক্রী

রাজ্য

সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে খুনে অভিযুক্ত অন্যতম মাস্টারমাইন্ডকে চোপড়া থেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ওই জোড়া খুনে অন্যতম অভিযুক্ত জিয়াউল শেখকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত জিয়াউল সামশেরগঞ্জের সুলিতলা এলাকার বাসিন্দা। এনিয়ে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪। এর আগে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
ওয়াকফ সম্পত্তি সংক্রান্ত সংশোধিত আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ থেকে উত্তেজনা ছড়ায় জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার তিনটি থানা এলাকায়। উত্তেজনা বাড়ে তাকে। অভিযোগ পুলিশ যথেষ্ট তৎপর ছিল না। বিক্ষোভের সুযোগে একদল দুষ্কৃতী হামলা করে বিভিন্ন জায়গায়। দোকান, বাজারও ভাঙচুর করে। সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস নামের দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয় দুষ্কৃতীদের হামলায়। তাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। দু’জনেই সিপিআই(এম)’র সমর্থক ছিলেন। গত রবিবার জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে দু’জনেরই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। শনিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ইজাজ আহম্মেদের। পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।  সুতি থানার সাজুর মোড়ের কাছে গুলিতে জখম হন ইজাজ আহম্মেদ। বহরমপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাঁর ময়নাতদন্ত হয়। 
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল জিয়াউল। তার খোঁজে কয়েকদিন ধরে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশের তরফে চোপড়ায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জিয়াউলকে। আগে ধৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার নাম উঠে আসে। শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিয়াউলকে নিয়ে পুলিশ শনিবার রাতেই জঙ্গিপুরের রওনা দেয়। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, জিয়াউল চোপড়ার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় মুর্শিদাবাদ থেকে চোপড়ায় গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিশ তৎপর হওয়ায় তার ছক বানচাল হয়।

Comments :0

Login to leave a comment