Persolini

মৃত্যু কী টের পেয়েছিলেন ফ্যাসিবাদ-বিরোধী পাসোলিনী? একটি হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর

বিশেষ বিভাগ ফিচার পাতা

শান্তনু চক্রবর্তী


সমুদ্র সৈকতে একলা পড়েছিল শরীরটা। রক্তাক্ত,ক্ষতবিক্ষত। ভোরের নরম রোদ আর শান্ত সাগরের হালকা টেউ কী আদরে-সোহাগে মুছে দিতে চাইছিল সারা রাত ধরে সয়ে আসা সমস্ত যন্ত্রণা? রোমের একদম গা ঘেঁষা ছোট্ট সৈকত শহর অস্টিয়ার নিরালা সাগরবেলায় পর্যটকদের ভিড় তখনো জমেনি। সাগর জলে পা ভেজাতে বা ঝাঁপাঝাঁপি করতে কিংবা বালুকাবেলায় রোদ্দুরস্নান করতে যাঁরা আসবেন, তাঁরা কী কখনো জানতে পারতেন, ওই ‍‌যে রক্তমাখা বেওয়ারিশ মরদেহ হয়ে শুয়ে আছেন, তিনি দেশের বাইরে গোটা দুনিয়া তাঁকে বিশ শতকের একজন শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার হিসেবে চিনলেও, তিনি একই সঙ্গে ইতালিয়ান ভাষার অন্যতম প্রধান কবি, একজন গুরুত্বপূর্ণ গদ্যলেখক-ঔপন্যাসিক প্রবন্ধকার? সাহিত্য-সিনেমার তত্ত্ব আলোচনার পাশাপাশি যিনি অবিরাম লেখালেখি করেছেন ফুটবল নিয়েও? ২ নভেম্বর সকালে আনন্দ উৎসব অবকাশ যাপনের জন্য যাঁরা অস্টিয়ায় এলেন, তাঁদের অনেকেই হয়তো জানতেই পারলেন না, মধ্যরাতে এখানেই খুন হয়ে গেছেন পিয়ের পাউলো পাসোলিনী! যাঁর মৃত্যুর অনেক বছর পরেও রোম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র-ইতিহাসের ক্লাসে এসে কোনও অধ্যাপক বলতে পারেন,‘আমাদের ইতিহাসটা শুরু করতে হবে, ১৯৭৫ সাল থেকে— কারণ ওই বছরের ২ নভেম্বরেই নিহত হন পাসোলিনী,আজ ইতালিয়ান সিনেমারও মৃত্যু হয় সেদিনই’! পাসোলিনীর মৃত্যু বা হত্যার এমনটাই মনে হয় কিনা, সেটা খুব আপেক্ষিক প্রশ্ন। আসল কথাটা হলো, মাত্র ৫৬ বছর বয়েসে পাসোলিনীকে থেমে যেতে হলো কেন? বা তাঁকে থামিয়ে দিতে হলো কেন? পাসোলিনীকে ৫০তম মৃত্যুদিনের দু’দিন পরেই যাঁর শততম জন্মবার্ষিকী।
এই বাংলার সেই অবাধ্য-দামাল, সেলুলয়েডের আগুনখোর মানুষটি না হয় বলেছিলেন, ‘ঋত্বিক ঘটক কারোর বাপের চাকর নয় যে ৫১ বছরের বেশি বাঁচবে! কিন্তু পাসোলিনী? হ্যাঁ, তিনি একটি প্রবন্ধে একবার লিখেছিলেন, মৃত্যু অনেকটা সিনেমার এডিটিং বা সম্পাদনার মতো। দক্ষ সম্পাদক যেমন ‘রাশ প্রিন্ট’ ঘেঁটে এলোমেলো পটগুলো কেটে-ছেঁটে গুছিয়ে গোটা ছবিটাকে একটা ধারালো, মসৃণ চেহারা দেয়, মৃত্যুও তেমনই জীবনের রাশ প্রিন্ট-এ একটা কাট-এর মতোই। কিন্তু তারপরেও তো পাসোলিনী বাঁচতে চেয়েছিলেন প্রাণভরে। লড়তে চেয়েছিলেন ক্যামেরা আর কলমকে হাতিয়ার করে। সে লড়াই বহু ফ্রন্টে, বহু মাথাওয়ালা দুশমনের সঙ্গে। পুঁজিবাদ-পণ্যায়নের বিরুদ্ধে, স্বেতাঙ্গ-ক্যাথলিক-পুরুষ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, ইতালি জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো চরম দক্ষিণপন্থী নয়া-ফ্যাসিবাদী জিগিরের বিরুদ্ধে।
যএ ইতালি ১৯৪৫-এ ফ্যাসিবাদের সমূহ পরাজয় দেখেছিল, প্রতিবাদী জনতার হাতে ফ্যাসিস্ত সর্বাধিনায়ক ও তাঁর প্রণয়িনীর চরম শাস্তি দেখে নিশ্চিন্ত হয়েছিল, তিন দশকের মধ্যেই সেই ইতালিতেই মুসোলিনীর উত্তরাধিকারীরা নানা মুখোশের আড়ালে নতুন করে মাথা তুলছিল। কারণ পাসোলিনী বা তাঁর মতো কেউ কেউ, তাঁদের মেধা-মনন-ভাবনা, আবেগ অনভব-উপলব্ধি দিয়ে বুঝতে পারছিলেন। এই নব্য-ফ্যাসিস্তদের মোডাস অপারেন্ডিটা মুসোলিনী জমানার ‘ব্ল্যাকসার্ট’-দের মতো গোদা-মোটা-ভোঁতা, নির্বোধ হিংসার রাস্তায় না-ও চলতে পারে। বিগত ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা গায়ের জোরে গায়ক-কবি-শিল্পী-লেখকদের মেরে-ধরে জেলে পুরে, মানুষের মগজ আর সাংস্কৃতিক পুঁজির ওপর দখলদারি কায়েম করতে চাইত। কিন্তু এই নয়া-ফ্যাসিবাদ, পুঁজিতন্ত্রের অন্দরে সেঁধিয়ে ‍‌গিয়ে, ভোগের উল্লাসে আর পণ্যায়নের উত্তেজনায় মানুষের পরিবার-পরিচয়-শ্রেণিগত অবস্থান, সবটাকেই ঘেঁটে, ভেঙে এলোমেলো-একাকার করে দিতে পারে। পাসোলিনী মনে করতেন, এই আধুনিক ভোগবাদের আকর্ষণ এবং আগ্রাসন পুরানো ধাঁচের ফ্যাসিবাদের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক। তিনি বিশ্বাস করতেন, পুঁজিভিত্তিক এই ভোগতন্ত্র, ফ্যাসিবাদের মতোই বা ফ্যাসিবাদের হয়েই নতুন নতুন ক্ষমতাকেন্দ্র তৈরি করছে। কিন্তু বাইরের হাঁকডাক বা গা-জোয়ারি নেই বলে টের পাওয়া যাচ্ছে না।
পাসোলিনী সমাজ রাজনীতির প্রক্রিয়ার মধ্যেই ক্রিয়াশীল এই ‘নিঃশব্দ ঘাতক’-কে চিহ্নিত করতে চাইছিলেন। শ্রমিক-জনতা, মধ্যবিত্ত মানুষ, তাঁর প্রগতিশীল বন্ধু-বান্ধব, তাঁর প্রিয় কমিউনিস্ট পার্টিকে এই ‘বিপদ’ সম্পর্কে সচেতন করতে চাইছিলেন। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, যুবক পাসোলিনীর মার্কসবাদে দীক্ষা ১৯৪০-এর দশকে। তাঁর সাহিত্য কিংবা সিনেমায় মার্কসবাদকে যান্ত্রিকভাবে পাঠ করার চেষ্টা তিনি কখনোই করেননি। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য থেকেছেন কয়েক বছর। আবার পার্টির শৃঙ্খলা মানিয়ে নিতে না পেরে ছেড়েও দিয়েছেন। আবার পার্টির মত ও পথের বৃত্তের কাছাকাছিই থেকে গেছেন জীবনভর। পাসোলিনী নিজে এই রাজনৈতিক অবস্থানের নাম দিয়েছিলেন ‘কম্প্যানিয়ঁ দে স্ত্রাদা’— বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘পথের সাথী’— সংগ্রামের সঙ্গী। তিনি নিজে তাঁর  মধ্যবিত্ত শ্রেণি অবস্থান নিয়ে কিছুটা কুণ্ঠিত আর দ্বিধাগ্রস্ত থাকতেন। বারবারই শ্রেণি লক্ষ্মণরেখা পেরিয়ে জনতার ‘মুখরিত সখ্যে’ নিজেকে মিলিয়ে দিতে চাইতেন। কৃষকের খেতের ধারে ঘর বেঁধেছেন। কৃষিজীবী মানুষের গ্রামীণ-লৌকিক কথ্যভাষা উঠে এসেছে তাঁর কবিতায়। শ্রমিক মহল্লার আধা বস্তিঘরেও থেকেছেন। নিজের ছবিতে ডি-সিকা বা রোসেলিনীর এবং বাস্তববাদী ধরন থেকে অনেকটা সরে এলেও, শ্রমজীবী মানুষ, তাঁদের দারিদ্র, অসহনীয় দিনযাপনের আছাড়া, রুক্ষ বাস্তব তীব্র অভিঘাতেই উঠে এসেছে তাঁর সিনেমায়। তাঁর মৃত্যুর পরে ইতালির কমিউনিস্ট পার্টি তাদের শোকবার্তায় এই ঠোঁটকাটা-মুখর সমালোচক পথের সাথীকে ‘ডেরো মিলিডান্ত্রে’ বা ‘প্রবল সংগ্রামী’ বলে শ্রদ্ধা জানিয়েছিল।
পাসোলিনীর ‘ডি-ক্লাসড’ হতে না পারার মনোবেদনার তাতে কোনও উপশম হতো কিনা জানা নেই। তবে মার্কসবাদের শিক্ষা তো তাঁকে যে কোনও অন্ধত্ব আর আধিপত্বের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে শিখিয়েছিল। দাপট, পরাক্রম ক্ষমতার অধিকারকে ‍‌তিনি সরাসরি বিদ্ধ, অভিযুক্ত করেছেন তাঁর সিনেমায়, লেখায়। যৌন পছন্দের ক্ষেত্রে তিনি যে সমকামী, এটা নিয়ে তাঁর কোনও লুকোচাপা বা সংকোচ ছিল না। আবার উগ্র পৌরুষের বিষমকামী সমাজে নিজের এই প্রান্তিক পরিচয়কে তিনি কখনো ভিক্টিম কার্ড হিসেবেও ব্যবহার করতে যাননি। ক্ষমতাতন্ত্রের বিরুদ্ধে তার পাঁচটা যুদ্ধের মতোই ‍‌তিনি ব্যক্তিগত লড়াইটাও নিজের মতো করেই লড়ে গিয়েছিলেন। শোনা যায় নভেম্বরের সেই রাত্রিতে অস্ট্রিয়ার সমুদ্রবেলায় যারা তাঁকে খুন করতে এসেছি‍‌ল, তারা ‘বেজন্মা কমিউনিস্ট’-এর পাশাপাশি ‘নোংরা ইতর সমকামী’ বলেও পাসোলিনীকে গাল পেড়েছিল।
যারা মানুষের গণতন্ত্র, অধিকার, সাম্যে বিশ্বাস করে না, দুনিয়াটাকে নিজেদের মরজিমাফিক চালাতে চান, ‘সমকামী’ এবং ‘কমিউনিস্ট’ দু’টো শব্দই তাদের কাছে আপত্তিকর, গালাগালির মতোই। মানবতার সেই শত্রুদের হাতেই শহীদ হয়েছিলেন পিয়ের পাউলো পাসোলিনী। কিন্তু তাঁর আগেই তিনি এই শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্রতম সেলুলয়েড প্রতিবাদ রেখে ‍ গেছেন তাঁর শেষ ছবি ‘সালো অর দ্য ওয়ান টোয়েন্টি ডেজ সদম’-এ। সালো পাসোলিনীর সবচেয়ে দুঃসাহসী, সবচেয়ে হিংসাত্মক, সবচেয়ে অস্বস্তিকর, সবচেয়ে বিতর্কিত, সবচেয়ে আলোচিত, সবচেয়ে নন্দিত ও নিন্দিত ছবি। পাসোলিনী খুন হয়ে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই প্যারিস চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটা দেখানোর পর ঝড় ওঠে ইতালিতে। ১৯৭৬-এর জানুয়ারিতেই ছবিটির নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ ছবিটা হিংসা ও যৌনতার বাড়াবাড়ি রকম গ্রাফিক ডিটেল্‌স-এ ভর্তি। যেটা মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এখন পরিচালক তো চেয়েছিলেন দর্শকের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈ‍‌রি হোক। এই বিরূপতা জন্মান্ধ ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা আর তার চালকদের প্রতি। এই দুনিয়ার সব প্রান্তের সব রকম ফ্যাসিস্ত কার্যক্রম‍‌কে দর্শক চরম ঘেন্নায় আর বিবমিষায় প্রত্যাখ্যান  করুক। পাসোলিনী চেয়েছিলেন তো, ছবিটা দেখতে দেখতে  দর্শকের গা গুলিয়ে উঠুক, বমি ‍‌পাক, তিনি অসুস্থবোধ করুন। কারণ দর্শককে বুঝতে হবে, তিনি পর্দায় মানব ইতিহাসের সবচেয়ে হিংস্র, সবচেয়ে অসুস্থ একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থার রূপকায়ন দেখছেন। এটা এমন একটা ব্যবস্থা যেটা শুধু  মানুষকে নিপীড়ণ করে না বরঞ্চ পরম ধর্ষকামী উল্লাসে সেই নির্যাতনের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করে। নির্যাতনের নিত্য নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করে আনন্দ পায়।
পাসোলিনী তাই মার্কুইস দ্য সাদের অষ্টাদশ শতাব্দীর নিষিদ্ধ উপন্যাস ‘ওয়ান টোয়েন্টি ডেজ অফ সদম’ -এর আখ্যানকে ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি ফ্যাসিস্ত ইতালিতে এসে ফেলেছেন। যেখানে ফ্যাসিবাদী একনায়ক মুসোলিনী রাজধানী রোম ছেড়ে রিপাবলিক অফ সা‍লো বা সালো প্রজাতন্ত্রে বসে হিটলার তথা নাৎসি জার্মানির বকলমে এক স্বৈর সাম্রাজ্য চালাচ্ছেন। এ ছবিতে মুসোলিনীর কোনও চরিত্র নেই। কিন্তু ফ্যাসিস্ত স্বৈর ক্ষমতাতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে ৪ জন পুরুষ আছে, যাদের একজন ব্যাঙ্কার এবং একজন ধর্মযাজক। ফ্যাসিবাদ আসলে পুঁজি, ধর্ম ও শাসন আর বিচার ব্যবস্থা মিলিয়ে ক্ষমতার একটা সর্বাত্মক রূপ। সেটা ১৯৪৩-৪৪-এ যেমন সত্যি, তেমনই ১৯৭৫-এও। ধর্ষকাম এখানে ক্ষমতার রাজনীতির যৌন রূপক। ওই ৪ ক্ষমতাশালী যে ১৮ জন তরুণ-তরুণীকে অপহরণ করে সালোনে নিয়ে আসে, তাদের শরীর-সত্তা কোনেটাই আর তাদের অধিকারে থাকে না। ক্ষমতাতন্ত্রের সম্পত্তি বা ভোগ্যপণ্য হয়ে যায়। মুসোলিনীর কালে তারা ফ্যাসিবাদ আর স্বৈরশাসকের গুণ গাইত, আর আধুনিক পৃথিবীতে তারাই পণ্য সংস্কৃতি আর ভোগতন্ত্রের বিপণন করে। ‘সালো’ ‍‌নির্মাণের সময় সেই কারণেই এক সাক্ষাৎকারে পাসোলিনী ব‍‌লেছিলেন, ‘আমি এই প্রথম আধুনিক বিশ্ব ব্যবস্থা নিয়ে একটা ছবি তৈরি করছি।
পাসোলিনী আর একটি সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলেন ১৯৭৫-এর ১ নভেম্বর বিকেল বা সন্ধ্যায় হয়তো বা তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি সাংবাদিককে বলেছিলেন,‘‘আপনি জানেন না, এই মুহূ‍‌র্তে কে আপনাকে হত্যা করার কথা ভাবছে।’’ ‍তিনি বলেছিলেন,‘‘চাইলে এই প্রতিবেদনের শিরোনাম দিন ‘কেন আমরা সবাই বিপদে আছি’। তিনি নিহত হওয়ার ৬ দিন পরে ওই শিরোনামেই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল। পাসো‍‌লিনী কী জানতেন,কারা তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে? তাঁকে খুনের দায়ে যাকে গ্রেপ্তার করা হয়ে‍‌ছিল সেই পিনো পেনোসির শুনানির ভিত্তিতে ১৯৯৫ সালে ছবি হয়? সেই ছবিতে যা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, ২০০৫সালে‍‌ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পেনোসি সেই তথ্যটারই সত্যতা প্রমাণ করে। সে জানায়, এক উগ্র দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠীর চা‍‌পেই তাকে খুনের দায় স্বীকার করতে হয়েছিল। হত্যাকারী অন্য কেউ ‘সালো’-এ আগে পাসোলিনী যে ট্রিলজি অফ লাইফ করেছিলেন, যৌনতা সেখানে মুক্ত-উদার-সহজ-অপাপবিদ্ধ। ধনতন্ত্রের কলুষমু্ক্ত। আর সালোতে সেই যৌনতাই ধর্ষকামী— ক্ষমতা ও মৃত্যুর প্রতীক।  ঘনিয়ে আসা ‍বিপদটা কী আসলে টের পাচ্ছি‍লেন পাসোলিনী ? অন্তর্গত রক্তস্রোতে?

 

Comments :0

Login to leave a comment