‘‘পুলিশবাহিনীর অপব্যবহার করছেন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বিজেপি’র নেতারা পুলিশকে ধরে পেটাচ্ছে। এসব কি জানেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?’’
আসামে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের দিনেই এমন প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ।
গগৈ সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, আসামে কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র ঋতম সিং-কে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। গুয়াহাটিতে তাঁর বাসভবন থেকে ধরে নিয়ে যায় লখিমপুরের পুলিশ। কারও সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। টেনে হিঁচড়ে ধাক্কা মেরে তোলা হয়েছে গাড়িতে।
শাহ এদিন আসামে একটি পুলিশ অ্যাকাডেমির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ভাষণে দাবি করেছেন যে কংগ্রেস রাজ্যে অশান্তি পাকিয়ে রাখত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আসাম সরকার রাজ্যকে স্থায়ী উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
গগৈ তার পালটা বলেছেন, ‘‘রাজ্য পুলিশকে অবৈধ কাজ করাতে বাধ্য করছেন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। জনতা সব নজরে রাখছে।
লখিমপুরের পুলিশ সুপার আবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে বলেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র ঋতম সিং-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টের জন্য। বিজেপি বিধায়ক মানব ডেকার স্ত্রী তারর একটি সোশাল মিডিয়া পোস্টে আপত্তি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
গত ১৩ মার্চ ঋতম সিং একটি পোস্টে ধেমাজি জেলায় ধর্ষণের মামলার রায়ের উল্লেখ করেন। ২০২১‘র ওই ঘটনায় তিনজনকে দোষী চিহ্নিত করে আদালত। ঋতম লেখেন যে বিজেপি’র তিন নেতা মানব ডেকা, ভবেশ কলিতা এবং রাজেন গোহাইঁকেও কী বিচারের মুখোমুখি ফেলা হবে। আইন সবার জন্য সমান হবে?
ভবেশ কলিতা বিজেপি’র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এবং রাজেন গোহাইঁ প্রাক্তন মন্ত্রী। গত জানুয়ারিতে কলিতা বিজেপি’র রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়েন। তবে তিনি এবং ডেকা দু’জনেই বিধায়ক। গোহাইঁ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন প্রথম সরকারে রেল প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বিজেপি’র তিন বড় নেতাকে ঘিরে প্রশ্ন তোলায় রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়েছে।
ঋতম সিং গ্রেপ্তারির আগেই সোশাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে পুলিশ তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে। অথচ, তাঁকে কোনও আইনি নোটিশ দেওবা হয়নি। কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ জানতে পেরে যান ঋতমের বাসভবনে। কিন্তু ঋতম সিং-কে কথা বলতে না দিয়ে টেনে ভ্যানে তোলে পুলিশ।
Assam Arrest Congress
আসামে শাহের সফরের মুখে বিনা নোটিশে গ্রেপ্তার কংগ্রেস মুখপাত্রকে

×
Comments :0