মহিলা আইনজীবীকে এক দুষ্কৃতী রাস্তায় ফেলে পেটানোর প্রতিবাদে বুধবার বর্ধমান আদালতে আইনজীবীরা দলমত নির্বিশেষে কর্মবিরতি পালন করেছেন। ফলে আদালতে আজ কোন কাজই হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন আইনজীবীরা। তাঁরা এদিন বলেছেন, শুধু মহিলা আইনজীবীরা নয় শহরের সব মহিলারা যাতে সুরক্ষিত থাকে তার দায়িত্ব নিক জেলা পুলিশ প্রশাসন। অন্যদিকে মহিলা আইনজীবীর উপর আক্রমণের ঘটনার ৮২ ঘন্টা পর পুলিশের ঘুম ভাঙ্গাতে সচেষ্ট হয় বর্ধমান বার এ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার গভীর রাতে দুষ্কৃতী রাজীব দাস’কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিনই বার এ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে অবশ্য সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই ঘটনায় পুলিশী ব্যর্থতার কারণে বুধবার আইনজীবীরা বর্ধমান আদালতে কর্মবিরতি পালন করবেন। যদি পুলিশ অপরাধীকে গ্রেপ্তার না করে তাহলে ৩ দিন পর বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা। আইনজীবীদের সেই প্রতিবাদ ক্ষোভেই কাজ হয়েছে, পুলিশ এদিন রাতেই দুষ্কৃতী রাজীব দাস’কে গাংপুর জোতরামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। বর্ধমান আদালতের আইনজীবীদের প্রশ্ন অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে মহিলা আইনজীবীকে চরম হয়রানির শিকার হতে হয়, তার পর একজন দুষ্কৃতীকে ধরতে পুলিশের এত সময় নেবার কারণ কি? কে এই রাজীব দাস? তার সাথে কি সম্পর্ক পুলিশের? যদিও মহিলা আইনজীবী রিয়া সরকারকে রাস্তায় ফেলে পেটে লাথি মারার সময় আসামী রাজীব দাস নিজেকে একজন পুলিশ কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে ছিল, সেকথা অভিযোগে আক্রান্ত মহিলা আইনজীবী জানিয়ে ছিলেন। যদিও পুলিশ এ বিষয়ে মুখে কুলুপ দিয়েছে। বুধবার আসামীকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে দিয়েছে বিচারক। পরবর্তী দিন ২২মার্চ তাকে ফের কোর্টে তোলা হবে। এদিনই অভিযোগকারি তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামী রাজীব দাসের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা করেছে পুলিশ তা হলো শ্লীলতাহানি, অবৈধ ভাবে আটকানো, এছাড়াও একাধিক ধারা দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা এদিন আরও অভিযোগ করেছেন, আসামী এই ঘটনার পর আত্মগোপনের জন্য নিজে মাথার চুল কেটে ফেলেছে যাতে চিহ্নিত করতে না পারে কেউ। কিন্তু প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ এদিন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়। এদিন আইনজীবীরা দাবি করেছেন যথা শীঘ্র তদন্ত করে আসামীকে শাস্তি দিতে হবে।
Lawyer Beaten Case
মহিলা আইনজীবীকে মারধর, চাপে পড়ে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে

×
Comments :0