KANCHANJUNGHA SIGNAL SYSTEM

ভোর ৫.৫০ থেকেই খারাপ ছিল সিগন্যাল

রাজ্য

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড আশিস দে এবং মালগাড়ির চালক অনিল কুমার।

স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং সিস্টেম ভোর ৫.৫০ থেকে খারাপ ছিল। রানিপাত্র এবং চটেরহাট রেল স্টেশনের মাঝে সিগন্যালিং ব্যবস্থা খারাপ থাকার খবর জানা গিয়েছে রেলের সূত্রে। এই লাইনেই রাঙাপানিতে মালগাড়ি পিছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে। রেল বো্র্ড পূর্ণ তদন্ত না চালিয়ে যেভাবে মালগাড়ির চালককে দায়ী করেছে, তাতে ক্ষুব্ধ রেলকর্মীরা।
দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে মালগাড়ির চালক অনিল কুমার এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড আশিস দে।    
এক রেলকর্মী জানিয়েছেন, ‘‘শিয়ালদহ-কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ৮.২৭ মিনিটে রাঙাপানি স্টেশন থেকে রওনা হয়। ট্রেনটিকে দাঁড় করানো হয় রানিপাত্র এবং চটেরহাট স্টেশনের মাঝে। তার কারণ স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থায় গোলমাল ছিল।’’
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং সিস্টেম খারাপ থাকলে স্টেশন মাস্টার লিখিত অনুমতি দিতে পারেন। পরিভাষায় ‘টিএ ৯১২’। রানিপাত্রের স্টেশন মাস্টার শিয়ালদহ-কাঞ্চজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালককে সেই বার্তা দিয়েছিলেন।’’
রেলের এই সূ্ত্রের বক্তব্য, ‘‘এই সময়েই মালগাড়িটি সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে রানিপাত্র ছেড়ে রওনা দেয়। এই ট্রেনটিই ধাক্কা দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপেসের পিছনে। ছিটকে পড়ে গার্ডের কামরা, দু’টি পার্সেল কামরা এবং একটি জেনারেল কামরা।’’
কিন্তু রেলবো্র্ড বলেছে যে প্রাথমিকভাবে মালগাড়ির চালকের ত্রুটি দেখা গিয়েছে। তিনি সিগন্যাল না মেনে গাড়ি ছুটিয়েচিলেন।’’
রেলের সূত্র বলছে, ‘‘মালগাড়ির চালককেও সিগন্যাল খারাপ থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত নয়। তদন্তেই তা দেখা যাবে। বার্তা পেলে নিয়ম হলো খারাপ সিগন্যালের সামনে এক মিনিট ট্রেন দাঁড়াবে এবং তারপর ১০ কিলোমিটার গতিতে এগবে।’’
ইন্ডিয়ান রেলওয়ে লোকো রানিংমেন অর্গানাইজেশনের কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় পান্ধি রেল বো্র্ডের কড়া সমালোচনা করেছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে তিনি বলেছেন, ‘‘তদন্ত না করেই ট্রেনের চালককে দায়ী করা অত্যন্ত অন্যায়। সেই চালকও মারা গিয়েছেন দুর্ঘটনায়।’’

Comments :0

Login to leave a comment