চৈত্র মাসে তুষারাবৃত হলো পাহাড়। বরফের চাদরে ঢাকল পাহাড়। দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুর পাশাপাশি তুষারপাত হয়েছে সিকিমের জুলুক, ছাঙ্গু, নাথুলাতেও।
পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েছে। মেঘাচ্ছন্ন ছিলো আকাশ। দার্জিলিঙের সান্দাকফুতে ব্যাপক তুষারপাত ঘটেছে। বুধবার ভোর রাত থেকে তুষারপাতের দরুন সান্দাকফু সাদা বরফে ঢেকে গেছে। ফলে পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা বরফের চাদরে মুড়ে গেছে। রাস্তাঘাট কয়েক ইঞ্চি পুরু বরফের নীচে চলে গেছে। মার্চের শেষে শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পাহাড়ের একাংশ। পাশাপাশি মঙ্গলবার রাত থেকে প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমেও প্রবল তুষারপাত ঘটেছে। সিকিমের জুলুক, ছাঙ্গু, নাথুলাতে তুষারপাত হয়েছে। দার্জিলিঙ শহরে তাপমাত্রা অনেকটাই নীচে নেমে গেছে। সেখানেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাথে ঝড়ো হাওয়া চলছে। আগামী তিন চারদিন তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে শৈলশহরে।
তুষারপাতের প্রভাবে পড়েছে দার্জিলিঙ পাহাড় লাগোয়া সমতলের শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন অঞ্চলে এদিন ভোর থেকেই আকাশ মেঘলা ছিলো। সকাল হতেই বৃষ্টি শুরু হয়। সারাদিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। সূর্যের দেখা মেলেনি। সারাদিন ঠান্ডা হাওয়া বইতে থাকে। বৃষ্টি ও ঠান্ডা হাওয়ার দরুন শীতের আবহ ফিরে এসেছে শহরে। কিছুদিন ধরেই শহরের আবহাওয়া বেশ গরম ছিলো। হাওয়ার সাথে ধূলো বালি চারিদিকে উড়ছিলো। তবে বুধবার থেকে পরিস্থিতির বদল ঘটবে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে এমনটা পূর্বাভাষ দেওয়া ছিলো। সেই পূর্বাভাষ সত্যি হয়েছে। ধূলোর হাত থেকে অনেকটাই রেহাই মিলেছে। আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত এলোমেলো বৃষ্টি, কোথাও কোথাও বজ্রপাত ও হাওয়ার দাপট সবমিলে আবাহাওয়ার খামখেয়ালিপনা অব্যাহত থাকবে। এমনটাই জানা যাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া একই থাকবে। মঙ্গলবার রাত থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। সূর্য ঢাকা পড়েছে মেঘের আড়ালে। বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী দু’তিন দিন গোটা রাজ্যেই এমন আবহাওয়া থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে জেলায় জেলায়।
এদিন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই বেশ ভালো ঠান্ডা অনূভূত হয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গে। এই সময়ে বসন্তে দোলের ছুটি কাটাতে সমতলের শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিঙ পাহাড়ে বহু পর্যটকদের সমাগম হয়েছে। অসময়ে পাহাড়ে তুষারপাতের আনন্দ চুটিয়ে উপভোগ করছেন তাঁরা।
Comments :0