Cricket

১৮ দেশের বাইশ গজে দুই বঙ্গ একাদশ!

বিশেষ বিভাগ ফিচার পাতা

সুমিত গাঙ্গুলি

বাঙালির ‘ঘরকুনো’ বলে অপবাদ আছে। অথচ বাঙালিদের মধ্যেই জন্মেছেন কর্নেল সুরেশ বিশ্বাসের মতো মানুষ। কিংবা অনায়াসে বলা যায় একাধিক বাঙালি বিপ্লবীদের কথা যাঁরা একসময় ছড়িয়ে পড়েছিলেন দেশে বিদেশে। কিন্তু তবুও তো ‘খিড়কি থেকে সিংহদুয়ারেই জগত আটকে থাকার এমন অপবাদও তো জুটেছে! 
আজ যদিও ছবি অনেকটা আলাদা। বাঙালি বিজ্ঞানী, বাঙালি অর্থনীতিবিদ পৃথিবী বিখ্যাত হচ্ছেন, গবেষণা করছেন, বাঙালি ক্রীড়াবিদরা দেশে বিদেশে সাফল্য পাচ্ছেন, কিন্তু ঘর মানে দেশের বাইরে তাঁদের জায়গা কোথায়? এই সব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে হলো যে ২০২৪ সালে সমস্ত আইসিসি সদস্য আন্তর্জাতিক টি ২০ খেলার অধিকার পেয়েছে। তাহলে এমন দেশ নিশ্চই আছে যেখানে বাঙালি ক্রিকেটার ক্রিকেট খেলছে! ভারত বা বাংলাদেশের বাইরে সত্যিই কি আছে এমন কেউ? খুঁজে দেখা যাক।
এখানে বলে রাখি, ২০০২ সালেই কিন্তু ইংল্যান্ডের মহিলা দলে ঈশা গুহকে দেখা গিয়েছিল। তারপর জার্মানির অধিনায়ক দেবানীক সেনগুপ্ত। কিন্তু জার্মানি তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অধিকার পায়নি। 
যাই হোক শুরু হলো খোঁজা। যা পাওয়া গেলো তা বেশ আকর্ষণীয়। 
প্রথমেই নাম উঠে এল স্যাম মরিসের। না তিনি ঠিক বাঙালি নন। বাবা বার্বাডোসের। সোনা খুঁজতে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। মা এলিজাবেথ অ্যান তাসমানিয়ায় জন্মান। তাঁর বাবাও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু এলিজাবেথের মা ছিলেন বাঙালি। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের সেন্ট কিটসের ভ্যান দিয়েমেনে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল এক ব্রিটিশ পরিবার। এই বাংলা থেকে। স্যাম মরিসই প্রথম টেস্ট ম্যাচে বাঙালি রক্ত বহন করেন। যাই হোক, সাম্প্রতিক সময়ের দিকে তাকালে অবশ্য কিছু উৎসাহজনক চিত্র দেখা যাবে।
মধ্য ইউরোপের দেশ চেক রিপাবলিক। এই দলটির হয়ে এক আধজন নয়, তিন তিনজন বাঙালি খেলেন। সত্যজিৎ সেনগুপ্ত, শুভ্রাংশু চৌধুরি ও সজীব ভুঁইয়া। তিনজনেই একসঙ্গে একাধিক ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ৩১ বছর বয়সি সজীব ২০টি, ৩৫ বছর বয়সি সত্যজিৎ ৯টি ও ৩২ বছর বয়সি শুভ্রাংশু ৭টি আন্তর্জাতিক টি ২০ খেলেছেন। 
এঁদের মধ্যে সত্যজিতের জন্ম আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ারে। ডান হাতি মিডিয়াম পেসার সত্যজিৎ প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার যিনি আন্দামানে জন্মেছেন। সজীব বাংলাদেশি। ডান হাতি মিডিয়াম পেসার অল রাউন্ডার সজীবের আন্তর্জাতিক টি ২০ ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি আছে। শুভ্রাংশু ও ডান হাতি মিডিয়াম পেসার। 
সিঙ্গাপুরের হয়ে দীর্ঘদিন টি ২০ খেলছেন অরিত্র দত্ত। বাংলাদেশের বাঙালি বংশোদ্ভূত অরিত্র এখনও অবধি জাতীয় দলের হয়ে ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন। সম্প্রতি এশিয়া কাপেও খেলে গেলেন ৩৩ বছর বয়সি অরিত্র। ঘটনাচক্রে তাঁর জন্মদিন ১৫ আগস্ট, ভারত ও বাংলাদেশের কাছে অত্যন্ত স্মরণীয় দিন। ডান হাতি টপ অর্ডার ব্যাটার হিসাবে তাঁর সর্বোচ্চ রান ১২২। 
সাইপ্রাসের হয়ে ১৮টি আন্তর্জাতিক টি ২০ ম্যাচ খেলেছেন ৩১ বছর বয়সি রোমান মজুমদার। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার রোমান আন্তর্জাতিক টি ২০ ম্যাচে একটা হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন। সাইপ্রাসের স্থানীয় ক্রিকেটে ডান হাতি স্পিন করলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচে সেই সুযোগ দেখাতে পারেননি তিনি। 
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ডলার মেহমুদ ও শোহরাওয়ার্দী শুভদের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলাদেশ দলে খেলেছিলেন সিরাজুল্লাহ খাদিম নিপু। ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় জন্ম ৩৬ বছর বয়সি নিপু পর্তুগালের হয়ে ২৩টি আন্তর্জাতিক টি ২০ ম্যাচে ৩৫টি উইকেট নিয়েছেন। বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার ও অল রাউন্ডার হিসাবে সিলেট ডিভিসনের হয়ে ৬টি প্রথম শ্রেণির ও ৮টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলা নিপু এখন পর্তুগালের ক্রিকেটার। সেই পর্তুগাল, যাঁদের জলদস্যুরা এককালে বাংলার উপকূলে হানা দিয়ে ‘হার্মাদ’ নামে খ্যাত হয়। 
ফিনল্যান্ডের দলে কোরোনার আগে ২০১৯ সালে একসঙ্গে একাধিক বাঙালি খেলেছেন (মূলত: বাংলাদেশি)। যেমন, মহম্মদ নুরুল হুদা শিফন। ৩৪ বছর বয়সি শিফন ৫টি টি-২০ খেলেছেন লোয়ার অর্ডার ব্যাট ও ডান হাতি অফ ব্রেক বোলার নুরুল হুদা।
অনেকেই শুনলে চমকে উঠবেন, একা ঋদ্ধিমান ‘সাহা’ নন, তন্ময় কুমার ‘সাহা’ ও আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলেছেন। ফিনল্যান্ডের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছেন বর্তমানে ৩৯ বছর বয়সি তন্ময় যিনি মূলত ডান হাতি পেসার। 
পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুরের ছেলে দীপাঞ্জন দে। ২০২১ সালের ১৪ আগস্ট ডেনমার্কের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় টি-২০ আন্তর্জাতিক খেলায় সুইডেনের হয়ে। ৬টি ম্যাচ খেলেন। এর মধ্যে ২১ আগস্ট, ২০২১, ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৭৫ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। দীপাঞ্জন মূলত ব্যাটার। আবার ঐ দলের হয়েই খেলেন হুমায়ুন কবীর জ্যোতি। ডান হাতি ব্যাটার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ৩০ বছর বয়সি বাঙালি তিনটি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। 
করোনার আগে মেক্সিকোর হয়ে খেলেছিলেন বুদ্ধদেব ব্যানার্জি। তখনই তাঁর বয়স ৪২ বছর। সেই সময় ৬টি ম্যাচ খেলেছিলেন। সবকটিই আন্তর্জাতিক টি-২০। বেশ কিছু খেলায় উইকেটরক্ষকও হয়েছেন। ঐ একই সময়ে মেক্সিকোর হয়ে গৌরব দত্ত ৭টি আন্তর্জাতিক টি ২০ ম্যাচ খেলেন। মূলত ব্যাটার গৌরব ওপেন ও করেছেন। 
কুয়েতে জন্মানো কানাডার ক্রিকেটার নিখিল দত্ত ১টি ওডিআই ও ১১টি টি ২০ ম্যাচ খেলেছেন। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএল প্রভৃতি দলে খেলেছেন এই বাঙালি ক্রিকেটার। তিনিই প্রথম বাঙালি পুরুষ ক্রিকেটার যিনি ভারত বা বাংলাদেশের বাইরে কোনও দলের প্রতিনিধিত্ব করেন (২০১৩)। ডান হাতি অফ ব্রেক বোলার ও ব্যাটার নিখিল ২০১১ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে অপরাজিত ১১৬ করেছিলেন। দুই বছর বাদে ২০১৩ সালে আইসিসি আমেরিকা অনূর্ধ্ব-১৯ প্রথম ডিভিসনের খেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বল হাতে ২১ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পরে ব্যাট হাতে অপরাজিত ৫৫ করেন। 
উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গার ছেলে রোমিও নাথ তুরস্কের উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৪টি আন্তর্জাতিক টি ২০ খেলেছেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে পড়তে গিয়ে প্রেমের টানে তুরস্কে গিয়ে ক্রিকেট খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জায়গা করে নিয়ে অদ্ভুত রোমান্টিক রূপকথার জন্ম দিয়েছেন রোমিও। 
ইতালির হয়ে ৮টি আন্তর্জাতিক টি ২০ ম্যাচ খেলেছেন রকিবুল হাসান রকি। তিনি বাংলাদেশের ছেলে। ঢাকায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের হয়ে খেলতেন, লেফট আর্ম অর্থডক্স বল করেন। এখন অল রাউন্ডার।
মহিলা ক্রিকেটে ঈশা গুহ ছাড়াও আর একজন মহিলা ক্রিকেটারের কথা বলাই যায়। স্কটল্যান্ডের প্রিয়ানাজ চ্যাটার্জি। ৩১ বছর বয়সি এই মহিলা ক্রিকেটার স্কটল্যান্ডের হয়ে ৯টি ওয়ান ডে ও ৫৭টি টি-২০ ম্যাচ খেলা প্রিয়ানাজ সারে এবং সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের হয়ে খেলেন।  
দেখতে দেখতে বেশ একটা বঙ্গ একাদশ হয়ে গেলো। দলটা আমার মতে হওয়া উচিৎ:  গৌরব দত্ত ও দীপাঞ্জন দে (ওপেনার), অরিত্র দত্ত, রোমান মজুমদার, বুদ্ধদেব ব্যানার্জী (অধিনায়ক), রোমিও নাথ (উইকেট রক্ষক), নিখিল দত্ত (সহ-অধিনায়ক), রকিবুল হাসান রকি, সিরাজুল্লা খাদিম নিপু, সজীব ভুঁইয়া ও সত্যজিত সেনগুপ্ত। দ্বাদশ ব্যক্তি: নূরুল হুদা শিফন। অতিরিক্ত: শুভ্রাংশু চৌধুরি, হুমায়ুন কবীর জ্যোতি, তন্ময় সাহা। 
এছাড়াও আরেকটি বঙ্গ একাদশ করাই যায়। সেখানে অবশ্য শুধু বাংলাদেশের বাঙালিরা থাকবেন। সেক্ষেত্রে দলটি এইরকম হবে -
থাইল্যান্ডের মহম্মদ শফিকুল হক তিতাস (৪টি ম্যাচ), জিয়াউল হক (৮টি ম্যাচ), আনোয়ার উল ইসলাম (৪টি ম্যাচ) ও ইসমাইল সরদার (২টি ম্যাচ)। এস্টোনিয়ার আশরাফুল ইসলাম শুভ (৩টি ম্যাচ) ও মশিউর রহমান (৪টি ম্যাচ, বয়স ৪২)। ইতালির আনাম মল্লিক (২টি ম্যাচ), কুয়েতের মোর্শেদ মুস্তাফা সারোয়ার (৭টি ম্যাচ), পর্তুগালের মহম্মদ ফারুখ হোসেন মোহন (৮টি ম্যাচ), ফিনল্যান্ডের মহম্মদ আসাদুজ্জামান (৯টি ম্যাচ), ফ্রান্সের জুবাইদ আহমেদ (৯টি ম্যাচ), চিলির শোয়েব গাজী হোসেন (৪টি ম্যাচ), বেলজিয়ামের সাজ্জাদ হোসেন (৬টি ম্যাচ), সার্বিয়ার শাকিব হাসান (২টি ম্যাচ) ও আপন মুস্তাফিজুর (৪টি ম্যাচ), দক্ষিন কোরিয়ার নাজমুস শাকিব নিশাত (২টি ম্যাচ, কিপিং ও করেন)। 
সবশেষে একজনের কথা না বললে অপরাধ হবে। তাঁর মাধ্যমেই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে বাংলার যোগসূত্র স্থাপিত হয়। তবে তিনি বাঙালি নন। 
রেভারেন্ড ডক্টর স্যামুয়েল কুপারের নাতি ব্র্যান্সবি হেনরি কুপার ছিলেন সিভিল সার্ভেন্ট, কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহে। তিনি বিয়ে করেন কলকাতার সুইনহো পরিবারে। ডারহ্যামের টমাস সুইনহোর বড় ছেলে হেনরি ১৭৫২সালে নিউ ক্যাসলে জন্মান। ১৭৮০ সালে তিনি কলকাতায় জেন মল কে বিয়ে করার আগেই কলকাতায় আসেন। উকিল ছিলেন। তার এক ছেলে টমাস ব্রুস ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উকিল। এই টমাস ১৮১৭ সালে জেন চিলকট (ব্রিস্টলে জন্ম; তখন থাকতেন ব্যারাকপুর) কে বিয়ে করেন সেন্ট পলস ক্যাথিড্রলে। এঁদের কন্যা ছিলেন মেরিঅ্যান। ১৮২১ সালে তাঁর জন্ম। সেই খবর লন্ডনের এশিয়াটিক জার্নালে প্রকাশিত হয় (১/১/১৮২১, পৃষ্ঠা - ১৮৭, ইস্যু ৬৮)। ১৮৪০ সালে কলকাতায় ব্র্যান্সবি হেনরি কুপারের সঙ্গে বিয়ে হয় মেরি অ্যালনের। ১৮৪৪ সালে জন্মান তাঁদের পুত্র ব্র্যান্সবি ব্যুক্যাম্প জন্মান। ব্র্যান্সবি হেনরি কুপার ১৮৫৭ সালে মারা যান। 
মেরিঅ্যান ছেলেকে নিয়ে বিলেত ফেরত যান। তার আগে ব্র্যান্সবি হেনরির সম্পত্তির দায়িত্ব নেন। ছেলে রাগবি স্কুলে ভর্তি হয়। কিছুদিনের মধ্যেই স্কুলের ক্রিকেট দলে নিয়মিত হয়ে যান ব্র্যান্সবি ব্যুক্যাম্প। ফ্রি ফরেস্টার দলের হয়েও খেলতে শুরু করেন। 
১৮৬৩ সালে মিডলসেক্সের হয়ে সারের বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণির খেলায় তাঁর অভিষেক হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রথম শ্রেণির খেলায় ৫০ ও ৮৯ করেন; চতুর্থ ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৬ করেন। ১৮৬৫ সালে জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্স ম্যাচে সুযোগ পেয়েই ৭০ করেন। ১৮৬৯ সালে দক্ষিণের জেন্টলম্যান বনাম দক্ষিণের প্লেয়ার্স ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন। এরপরেই অস্ট্রেলিয়া চলে যান। যাওয়ার আগে বাবার এস্টেটের মালিকানা পান। 
সেখানে ভিক্টোরিয়ার হয়ে খেলতেন। গ্রেসের দল অস্ট্রেলিয়া সফরে গেলে তিনি ৮৮ করেন এঁদের বিরুদ্ধে। মাত্র দু’বছর আগে এই গ্রেসের সঙ্গে প্রথম উইকেটে ২৮৩ রানের জুটি বানিয়েছিলেন। 
এরপর লিলিহোয়াইট দল নিয়ে খেলতে এলে ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলসের যৌথ দলের হয়ে ১৮৭৭ সালে খেলতে নামেন। ১৮ বছর পর ম্যাচটি ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টেস্ট বলে স্বীকৃতি পায়। সেই সময় বালিগঞ্জ ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে তাঁর মামারা ক্রিকেট খেলতেন। 
হ্যাঁ, ব্র্যান্সবি ব্যুক্যম্প কুপার। জন্ম এই বাংলার ঢাকা প্রেসিডেন্সির ময়মনসিংহে কিংবা খোদ ঢাকা শহরেই। মামার বাড়ি কলকাতার বালিগঞ্জের সুইনহো স্ট্রিটের সুইনহো বাড়ি। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম এগারো জন টেস্ট ক্রিকেটারের একজন।
যাই হোক,  ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও বাংলা ভাষার মানুষ ১৮টি দেশে খেলছেন। সংখ্যাটি বাড়বে বই কম হবে বলে মনে হয় না। আজ আক্ষরিক অর্থেই ফলে গেছে ক্রিকেট প্রেমী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ‘থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে/ দেখবো এবার জগৎটাকে’।
সেই জগৎ দেখতে বেরোনো বাঙালি আজ  ১৮টি দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলছে।
 

Comments :0

Login to leave a comment