চক্রবর্তী সমালোচনা করেছেন বিজেপি’রও। তিনি বলেছেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি জমি প্রোমোটারদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আজ তিনিই আবার টুইট করে সরকারি লিজ জমি বিক্রি করে দেওয়ার কথা বলছেন।’’
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূল এতদিন ধরে রাজ্যের মানুষকে সর্বস্বান্ত করে ছেড়েছে। তাই দিদির দূতদের দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে গ্রাম বাংলা। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এমন ভাষাতেই তৃণমূলকে আক্রমণ শানালেন সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।’’
সুজন চক্রবর্তী বলেন, শুভেন্দু অধিকারী টুইটে দাবি করছেন ২০ হাজার একর সরকারি লিজের জমি বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যদিও ২দিন আগে বামপন্থীদের তরফে প্রথম এই ঘটনা সামনে আনা হয়। ২০ হাজার একর জমি, কার জমি? কে ‘প্রমোট’ করবে? তার ‘কাটমানি’ কত? তার ভাগ কোথায় কোথায় যাবে? এই সমস্তটাই আগেভাগে ঠিক করা হয়ে গিয়েছে। এর থেকে একটা কথাই স্পষ্ট- রাজ্যে শিল্পের ১২টা বেজে গিয়েছে। রাজ্য সরকার বুঝে গিয়েছে এরাজ্যে শিল্প হবে না। তাই ‘লিজ হোল্ড’ জমিগুলিকে ‘ফ্রি হোল্ড’ জমিতে পরিণত করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। সেই জমিতেই ‘প্রমোটিং’ করা হবে। অর্থাৎ ‘কাটমানি’ চক্রে রাজ্য সরকার সরাসরি ঢুকে পড়ল।
সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, শুভেন্দু অধিকারী আজ এই কথা বলছেন বটে, কিন্তু তিনিও তৃণমূল সরকারের পরিবহণ মন্ত্রী থাকাকালীন ট্রাম কোম্পানির জমি একইভাবে বিক্রি করেছিলেন। আজ তাঁরই প্রাক্তন দলের সরকার অন্য প্রকল্পের জমি একই কায়দায় বিক্রি করছে।
সুজন চক্রবর্তী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই ২০ হাজার একরেই এই ঘটনা সীমাবদ্ধ থাকবে না। এরপর নিশ্চিত ভাবেই খাস জমিতে হাত পড়তে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘‘দিদির দূত বলে একটা প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্প শুরু হওয়া ইস্তক সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখোমুখি হতে হচ্ছে এই দিদির দূতদের। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শতাব্দী রায়, অর্জুন সিংয়ের মতো তৃণমূল নেতাদেরও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। আসলে মানুষ তো বিরক্ত। স্থানীয় নেতারা এই দূতদের নিয়েই যাচ্ছে তৃণমূল সমর্থকদের কাছে। সেখানেও ঘাড়ধাক্কা খেতে হচ্ছে তাঁদের। রাস্তায় আটকে দেওয়া হচ্ছে। একটা কোনও ব্যক্তির ব্যাপার নয়। কিন্তু রাজ্যে তৃণমূল যে ভাবে চলছে, তাতে রাজ্যের সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত এবং সর্বস্বান্ত। সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে দিদির দূতদের ঘিরে।’’
Comments :0