রিষড়ায় সাম্প্রদায়িক হিংসার পরদিনই পরিস্থিতি যখন কিছুটা স্বাভাবিকদের দিকে যাচ্ছে তখন ফের সেখানে উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। সোমবার সকালে দলীয় কর্মী সর্থকদের নিয়ে রিষড়ায় ‘আহত দলীয়’ কর্মীদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রিষড়ার আগেই কোন্নগরে সুকান্তকে আটকায় পুলিশ। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। সুকান্ত মজুমদার গাড়ি থেকে নামলেন না। তিনি গাড়িতেই বসে থাকলেন। গাড়িতে বসে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলতে থাকলেন। ঠিক তখনই মুখ ফস্কে বলে ফেললেন সত্যি কথা। সুকান্ত বলেন, ‘‘সব জায়গায় একসাথে হিংসার ঘটনা ঘটলে কি প্রশাসন সামলাতে পারত? তাই তো যাতে সামলাতে পারে তাই আলাদা আলাদা দিন শোভাযাত্রা করা হচ্ছে।’’ একথা বলার পরেই তাকে ধামা চাপা দিতে তিনি বলেন, ‘‘মিছিলের অনুমতি পুলিশ দিয়েছিল।’’ এখানেই প্রশ্ন উঠছে শিবপুরের ঘটনার পরেও কেন অনুমতি বাতিল করলো না প্রশাসন।
উল্লেখ্য সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বার বার দাবি করে এসেছেন যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মানুষ যখন লাল ঝান্ডার আশ্রয়ে ফিরছেন তখন নিজেদের স্বার্থে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরি করতে দাঙ্গা লাগাচ্ছে বিজেপি এবং তৃণমূল। রাজ্য দাঙ্গা পরিস্থিতি যে বিজেপি এবং তৃণমূলের একে অপরের মধ্যে বোঝা পড়া তা স্পষ্ট।
সুকান্ত মজুমদারের দাবি রাজ্য সরকারের নির্দেশেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। কারণ তারা ‘বিশেষ সম্প্রদায়ের’ মানুষ। সুকান্তর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ৩০ শতাংশ ভোটের কথা মাথায় রেখে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’’
দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং দেবশ্রী চৌধুরির মতো বিজেপি সাংসদরা সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন কিছু কথা বলছেন যাতে ফের উত্তেজনা তৈরি হতে পারে।
উল্লেখ্য পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে দাঙ্গা নিয়ে বেশি কথা ব্যায় করেননি তিনি। হাওড়ার ঘটনায় পুলিশের দিকে দায় ঠেললেও আজ তা করেননি। তিনি বলেন, ‘‘রামনবমীতে মিছিল করো কোন আপত্তি নেই। কিন্তু বন্দুক নিয়ে কোন করবে?’’ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কথায় সাম্প্রদায়িক সুক্ষ ভাগটা করে রাখলেন ।
রামনবমীর মিছিল সম্পর্কে মহম্মদ সেলিম সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘‘উৎসব মানে ধর্মীয় স্থানে গিয়ে একসাথে উপাসনা করা। কিন্তু রামনবমীর নাম করে বিজেপি আরএসএস হাতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করছে, যার জন্য দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’’
Comments :0