ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে বিপাকে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। হাসপাতালের পরিষেবা সন্তোষজনক নয়, খাবারের মান নিম্নমানের, হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নেই ডেঙ্গু হওয়ার পরিস্থিতি রয়েছে। এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে এই পরিদর্শন করেন। কিন্তু হাসপাতাল সুপারের কাজে কর্মী নিয়োগ নিয়ে কথা বলতে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। সুপার জানায় যে তার নির্দেশে শাসক দলের লোকজনকে কাজে নিতে হয়েছে হাসপাতালে। সে সব কাগজ পত্র আছে সুপারের কাছে।
আর ঘটনার পুরো উওপ্ত বাক্য বিনিময় ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। বিধায়ক অসিত মজুমদার অভিযোগ তোলেন, হাসপাতালে একাধিক বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, যেখানে যোগ্যতার বদলে কারও সুপারিশে লোক ঢুকেছে।
তবে সেই অভিযোগ তৎক্ষণাৎ খণ্ডন করেন হাসপাতাল সুপার। তিনি বিধায়ককে স্পষ্ট জানান, ‘যে নিয়োগ হয়েছে, তা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ভাবেই হয়েছে। বরং আপনার সুপারিশে নিয়োগ হওয়া লোকদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আপনারাই দলের লোক। তিনি এখানেই বসে রয়েছেন।’ সুপারের কথা শুনে রীতিমতো চুপ হয়ে যান বিধায়ক। এরপরেই এক তৃণমূল কর্মীর সঙ্গেও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয় সুপারের। এরপরেই বিধায়ক ওই তৃণমূল কর্মীকে ধমক দিতে থাকেন।
সব মিলিয়ে, বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে বিধায়ক নিজেই পড়ে গেলেন অস্বস্তিতে। পড়ে বিধায়ক জানান যে অভিযোগ পেয়েছিলেন তা ঠিক নয়। নিয়োগে কোন অস্বচ্ছতা নেই। তিনি বলেন, ‘সুপার খুব ভালো কাজ করছেন। দু বছর এই হাসপাতাল কোভিড হাসপাতাল ছিলো। আমার মোবাইলে মাঝে মধ্যে বহু মানুষ মেসেজ করে, সেই অভিযোগে ভিত্তিতে এসেছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘যে ঝগড়া হয়েছে তা ঠিক হয়নি, যে ঝগড়া করেছে, ঠিক করেনি। সরকারী অধিকারিকের সঙ্গে এই ভাবে কথা বলা ঠিক নয়। কোন অবৈধ্য নিয়োগ এখানে হয়নি।’
তৃণমূল কর্মী মুরারি বাল্মিকীর দাবি, তার এলাকার ১০ জন যুবককে কাজ থেকে বসিয়ে দিয়েছেন সুপার। সেটা নিয়ে তিনি চিঠি করেছিলেন তাই তার উপর রাগ সুপারের। হাসপাতালে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী আছে। কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হল অথচ অন্য লোক নেওয়া হল এলাকার যুবকদের মিটিং মিছিলে নিয়ে যেতে হয় তাদেরকে কি জবাব দেব।
হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল দাস জানান, কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তার কোন হাত নেই। ঠিকাদার মারফত নিয়োগ হয়। এলাকার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করেই তারা করেন। হাসপাতালে আগের যা অবস্থা ছিল তার থেকে এখন অনেক ভালো হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়।
Comments :0