TMC MALDA

তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে ৫০ লক্ষের ‘সুপারি’, ধৃত দলেরই দুই নেতা, কে ‘বড় মাথা’

রাজ্য জেলা

ধৃত তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি

মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন আর এক তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। মঙ্গলবারই তিওয়ারিকে ইংরেজবাজার থানায় দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি থাকায় বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্বপন শর্মা নামে আরও এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনকে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মৃত দুলাল সরকার ইংরেজবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর। তাঁর স্ত্রী প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন এই খুনের পিছনে ‘বড় মাথা’ জড়িত আছে। 

বুধবার এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার সংবাদমাধ্যমে জানান যে তৃণমূলের এই নেতা খুনে ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। নরেন্দ্রনাথ এবং স্বপনকেই ‘মূল চক্রী’ বলেছেন তিনি।  

গত ২ জানুয়ারি গুলি করে খুন করা হয় দুলাল সরকারকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে প্রাণ বাঁচাতে নিজের কারখানায় আশ্রয় নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। এই ঘটনার পর পুলিশকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সরাসরি বলেন এসপির অপদার্থতার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তার দলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই খুন হতে হয়েছে দুলালকে।

জানা যাচ্ছে, ইংরেজ বাজার পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাত তিওয়ারির সঙ্দুগে সংঘাত ছিল দুলালের।  অভিযোগ, ২০২২ সালের পৌরসভা নির্বাচনের সময় দুলালের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন নরেন্দ্রনাথের ভাই। সেই সময় থেকে বদলা নেওয়ার জন্য তিনি মুখিয়ে ছিলেন বলে তৃণমূলের একটা অংশ দাবি করছে। 

এদিন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে যখন পুলিশ থানা থেকে বাইরে নিয়ে আসছিল তখন তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, বড় মাথা ফেঁসে যাবে বলে।’

এই ‘বড় মাথা’ কে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

Comments :0

Login to leave a comment