মীর আফরোজ জামান: ঢাকা
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভ অব্যাহত। রপ্তানির প্রধান ক্ষেত্র পোশাকশিল্পে শ্রমিকদের ক্ষোভ ফুটে বের হচ্ছে। বেতন ও ঈদের বোনাস না পেয়ে বিক্ষোভে শামিল হচ্ছে শ্রমিকরা।
শনিবার দুপুর আড়াইটের দিকে ভুইয়াগাঁতী এলাকার ‘আর আর স্পিনিং অ্যান্ড কটন মিল' কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সোয়া ৩টার দিকে সেনাবাহিনী ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে কারখানার সামনে নেয়। তখন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, শ্রমিকরা বেতন ও ঈদের বোনাস না পেয়ে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছিল। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানো হয়েছে। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আন্দোলনরত শ্রমিক ফজলুল হক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘চলতি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস না দেওয়ায় আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’’
মহম্মদ ইউনুস সরকারের ভূমিকা বারবার সমালোচনায় আসছে। শ্রমিকদের দাবি মেটানোর প্রশ্নে সরকারের ভূমিকা না থাকায় বাড়ছে ক্ষোভ।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)‘র সভাপতি মহম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে সব শ্রমিক কর্মচারীর বেতন বোনাস প্রদান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, টিএনজেড গ্রুপ সহ শত শত কারখানায় বেতন বোনাস পরিশোধ করা হয়নি। সমগ্র দেশবাসী ঈদের আনন্দ শুরু করেছেন। কিন্তু বেতন-বোনাস না পাওয়া শ্রমজীবী মানুষের জীবন চরম সংকটাপন্ন। যার দায় সরকার কোনও ভাবেই এড়াতে পারে না।
উল্লেখ্য, গত ছয় মাসে বন্ধ হয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের একশোর বেশি কারখানা। গত কয়েক মাসে প্রায় ১০টি কাপড়কল বন্ধ হয়েছে। এ ছাড়াও সিমেন্ট, ইস্পাত ও কাগজ শিল্পের অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে।
Comments :0